দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: রাতারাতি সরিয়ে দেওয়া হল ভদ্রেশ্বর থানার ওসি নন্দন পাণিগ্রাহীকে। তাঁর জায়গায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভদ্রেশ্বর থানার দায়িত্ব নিলেন কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর সাইবার ক্রাইম থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তেলেনিপাড়ার উত্তেজনার মাঝে এই রদবদল ভালভাবে দেখছেন না অনেকেই।
রবিবার সন্ধে থেকে দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোলে উত্তপ্ত ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়া। বিভিন্ন বাড়ি লক্ষ্য করে ইট ও পাথর ছোঁড়া পাশাপাশি চলেছে ব্যাপক বোমাবাজি। বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর ও সোনার দোকানে লুটপাট চালানো বলে অভিযোগ ঘটে। সোমবার সকাল থেকেই বিষয়টি নিয়ে শুরু বিজেপি ও তৃণমূলের তরজা। বিজেপির পক্ষ থেকে স্থানীয় এক তৃণমূল কাউন্সিলরের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি দেখতে চাইলে স্থানীয় বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে বাধা দেয় পুলিশ। এর জেরে নতুন করে উত্তেজনাও ছড়ায়। মঙ্গলবার সকাল থেকে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। দফায় দফায় বোমাবাজি, ভাঙচুর চলে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে। এই মর্মে বঙ্গ বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের কাছে সরকার ও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগ জানায়। এরপর বুধবার এ বিষয়ে কথা বলতে জেলাশাসকের দপ্তরে যান হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। জেলাশাসকের দেখা না মেলায় সেখানেই অবস্থানে বসেন তাঁরা। কিছুক্ষণ পর রওনা দেন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে। পথে চন্দননগরের এসিপি (ওয়ান) হেডকোয়ার্টার গোলাম সারওয়ারের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়ান দুই সাংসদ।
[আরও পড়ুন: ফল ও সবজি খালাসের সময় লুঠের চেষ্টা, বর্ধমানের পাইকারি বাজারে আতঙ্ক তুঙ্গে]
তবে এদিন জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনার কারও সঙ্গেই দেখা করতে পারেননি সাংসদরা। এরপরই ক্ষোভে ফেটেন পড়েন তাঁরা। তেলেনিপাড়ার অশান্তির পিছনে তৃণমূলের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। এরপরই চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার ও ভদ্রেশ্বর থানার ওসির বদলির দাবিতে সরব হন হুগলির সাংসদ। এদিন রাতেই বদলি করা হয় ওসিকে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: পড়ুয়া টানতে হাতিয়ার করোনা, গ্রিন জোনের টোপ দিয়ে ভরতির বিজ্ঞাপন কলেজের]
The post তেলেনিপাড়ার উত্তেজনার মাঝেই রাতারাতি ভদ্রেশ্বর থানার ওসি বদল, তুঙ্গে বিতর্ক appeared first on Sangbad Pratidin.