সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরেও শিক্ষা হয়নি। আবারও টাইটানিকের (Titanic) ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার বিজ্ঞাপন দিল ওশানগেট সংস্থা। আগামী বছর জুন মাসেই ফের বিপজ্জনক অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়েছে সংস্থার তরফে। প্রসঙ্গত, ১৮ জুন জলের তলায় ডুব দেওয়ার পরেই ভেঙে পড়ে সাবমেরিন টাইটান। বিখ্যাত জাহাজ টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে সলিল সমাধি ঘটে পাঁচ অভিযাত্রীর। এই দুর্ঘটনার জন্য আঙুল উঠেছে আয়োজক সংস্থা ওশানগেটের দিকেই।
বুধবারই আটলান্টিক মহাসাগরের ৪ কিলোমিটার নীচ থেকে উদ্ধার হয়েছে সাবমেরিন টাইটানের (Submarine Titan) ধ্বংসাবশেষ। মিলেছে পাঁচ অভিযাত্রীর দেহাংশও। তার ঠিক পরের দিনই ওশানগেটের ওয়েবসাইটে দেখা গেল টাইটানিক অভিযানের বিজ্ঞাপন। বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুন মাসে পরপর দু’টি অভিযানের আয়োজন করতে চলেছে ওশানগেট। ১২ থেকে ২০ জুন প্রথম অভিযান হবে। পরে ২১ থেকে ২৯ জুন ফের সমুদ্রে ডুব দেবে সাবমেরিন টাইটান।
[আরও পড়ুন: ‘সঙ্গী বাছুন চুপচাপ!’ নতুন পোস্টে কিসের ইঙ্গিত দিলেন জিতু?]
সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, অভিযানের আগে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে যাবতীয় সুবিধা দেওয়া হবে অভিযাত্রীদের। এর জন্য মাথা পিছু ২ কোটি ৫ লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছে। এই বিজ্ঞাপনের পরেই তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছে ওশানগেট। জুন মাসে আটলান্টিক মহাসাগরের (Atlantic Ocean) প্রাকৃতিক পরিবেশ খুবই বিপজ্জনক থাকে। তার জন্যই দুর্ঘটনাগ্রস্ত টাইটানিকের উদ্ধারকাজে প্রবল বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন এই সময়েই অভিযানের আয়োজন করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার মার্কিন উপকূলরক্ষা বাহিনীর (USA Coast Guard) তরফে জানানো হয়, সমুদ্রের নীচে তল্লাশির সময়ে বেশ কিছু দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে। তবে তার পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। আপাতত মার্কিন মেডিক্যাল বিভাগের আধিকারিকরা মৃতদেহের নমুনা খতিয়ে দেখবেন। দেহাংশের পাশাপাশি খোঁজ মিলেছে ভেঙে যাওয়া সাবমেরিনটিরও। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, একটি এসইউভি গাড়ির সমান আয়তন ছিল টাইটানের। সমুদ্রের প্রায় ৪ কিলোমিটার গভীরে সাবমেরিনটি ডুবে গিয়েছিল। এক বিপর্যয়ের রেশ কাটার আগেই আবারও দুঃসাহসিক অভিযানের প্রস্তুতি বিতর্কিত ওশানগেটের।