সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৯-এর বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল। ম্যাঞ্চেস্টারে স্বপ্নভঙ্গ হয় ভারতের।
২০২৩-এর সেমিফাইনাল (ODI World Cup 2023)। মুম্বইয়ে স্বপ্ন ভাঙে নিউজিল্যান্ডের।
দুটো ভিন্ন সময়। ভিন্ন ভেন্যু। ফলাফলও ভিন্ন। কিন্তু ছবিটা বদলায়নি এতটুকুও।
ম্যাঞ্চেস্টারে টিম ইন্ডিয়ার হারের পরে হতাশ বিরাট কোহলিকে স্নেহ-ভালবাসা মিশ্রিত আলিঙ্গনে বুকে টেনে নিয়েছিলেন কিউয়ি অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
মুম্বইয়ে ভারত জেতার পরেও অবিকল একই ফ্রেম। বিরাট কাছে টেনে নিলেন উইলিয়ামসনকে। বন্ধুর আলিঙ্গনে হারের ক্ষতে হয়তো প্রলেপ পড়ল কিউয়ি অধিনায়কের।
[আরও পড়ুন: ক্র্যাম্পের ব্যথায় ছটফট বিরাটকে কেন সাহায্য? কিউয়িদের আচরণে ক্ষুব্ধ অজি ক্রিকেটার]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এত চাপ, এত প্রতিদ্বন্দ্বিতা, সামান্য বিষয়ে মতাবিরোধ হতেই পারে। কিন্তু বিরাট আর উইলিয়ামসনের সম্পর্কে বরফ জমেনি কখনও। একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা রয়ে গিয়েছে একইরকম।
মণীষীরা বলে গিয়েছেন, ”আ সিঙ্গল সোল ডুয়েলিং ইন টু বডিজ।” দুই শরীরে একই সত্ত্বা। বন্ধুরা নাকি এমনই হয়।
কেউ আবার বলে গিয়েছিলেন, আমি তোমাকে পিছন থেকে অনুসরণ করতে পারব না। আবার আমি চাই না আমাকে পিছন থেকে কেউ ফলো করুক। আমি বরং তোমার পাশে পাশে হাঁটতে পারি। বন্ধু তো চিরকাল একে অপরের পাশেই থাকে।
বিরাট আর উইলিয়ামসনও হর্ষ আর বিষাদে একে অপরের পাশেই রয়ে গিয়েছেন। সেই দৃশ্যই আরও একবার দেখা গেল মুম্বইতে। ম্যাঞ্চেস্টারের ফ্রেমেরই পুনরাবৃত্তি হল ওয়াংখেড়েতে।
হারের গ্লানি বুকে নিয়েও বন্ধু কোহলির দলকে প্রশংসা করে উইলিয়ামসন বলেছেন, ”অভিনন্দন ভারতকে। টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত ক্রিকেট তুলে ধরেছে ওরা। সম্ভবত টুর্নামেন্টের সেরা খেলাটাই তুলে ধরেছে।”
দুই তারকার মিলনান্তক ফ্রেম দেখে জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনের সুর গাইছে মন, ”টুকরো টুকরো কত ছবি, আঁকা হয়ে যায় এ জীবনে।”
বিরাট আর উইলিয়ামসনের ছবিটাও মনে থেকে যাবে চিরকাল। জীবনের সঞ্চয় হয়েই। মনে করিয়ে দেবে, ম্যাঞ্চেস্টার থেকে মুম্বই, কখনও হার, কখনও জিত, বন্ধুত্ব চিরকাল বিজয়ী।
[আরও পড়ুন: বিরাট-শামির মহা-ভারত! হাজার কণ্ঠের বন্দে মাতরমে কাঁপল ওয়াংখেড়ে]