সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেই কবে গত শতাব্দীর আটের দশকে দূরদর্শনে দেখানো হয়েছিল রামানন্দ সাগরের ‘রামায়ণ’ (Ramayana)। ২০২০ সালে লকডাউনের সময় যখন গোটা দেশ ঘরবন্দি, ফের নতুন করে রেকর্ড গড়েছিল ‘ক্লাসিক’ হয়ে ওঠা সেই সিরিয়াল। আবারও ঘরে ঘরে রাম-রাবণের যুদ্ধ দেখতে ভিড় জমিয়েছিল আট থেকে আশি। তাদেরই একজন ওড়িশার (Odisha) ১০ বছরের এক খুদে। মহাকাব্যের টেলি-সম্প্রচার তার মনে এমন প্রভাব ফেলেছিল যে, সে নিজেই লিখে ফেলে শিশুদের উপযোগী এক রামায়ণ!
আয়ুষ নামের ছোট্ট ছেলেটি তার লেখা এই রামায়ণের নাম দিয়েছে ‘পিলাকা রামায়ণ’। অর্থাৎ ‘ছোটদের রামায়ণ’ ১০৪ পাতা জুড়ে রয়েছে রামের কীর্তিকাহিনি। কেন টিভিতে রামায়ণ দেখতে দেখতে হঠাৎ তা লিখে ফেলার ইচ্ছে হল তার? আয়ুষের কথায়, ”মার্চে যখন লকডাউন শুরু হল, সেই সময় টিভিতে রামায়ণ দেখানো হচ্ছিল। আমার বড়জ্যাঠু আমাকে বলেন, আমি যেন এটা মন দিয়ে দেখি। বোঝার চেষ্টা করি। পরে জ্যাঠুই আমাকে বলেন, এগুলো লিখে রাখতে। তাই প্রথম এপিসোড দেখার পর থেকেই ডায়রির পাতায় তা লিখে রাখতে শুরু করি আমি।”
[আরও পড়ুন: বিয়ে করতে গিয়ে বিপত্তি, বাজির শব্দে মেজাজ হারিয়ে বরকে নিয়ে ছুটল ঘোড়া, তারপর…]
সেই ইচ্ছেই ক্রমে ডালপালা মেলতে শুরু করে। প্রতিটি এপিসোড দেখার পর তা নিজের ভাষায় লিখে রাখত আয়ুষ। এই ভাবে মাস দুয়েক চলার পর শেষ হয় ছোটদের জন্য লেখা এই রামায়ণ। আয়ুষ জানাচ্ছে, কোনও ঘটনাই বাদ দেয়নি সে। লক্ষণ-সীতাকে সঙ্গে নিয়ে রামের বনবাস, রাবণের সীতাহরণ, রাবণ বধ, রামের প্রত্যাবর্তন থেকে উত্তরকাণ্ড- সবই বিস্তারিত ভাবে লেখা আছে তার লেখা রামায়ণের এই সংস্করণে।
অবশেষে বই আকারে প্রকাশিত হয়েছে ‘পিলাকা রামায়ণ’। ক্লাস ফোরের আয়ুষের যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না তার লেখা সেই রামায়ণ বই হয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। দু’চোখে বিস্ময়ের ঘোর নিয়ে সে জানাচ্ছে, সকলেরই উচিত কিছু না কিছু লেখার অভ্যাস রাখা। এই সৃজনশীলতাই জীবনকে নতুন করে দেখতে শেখাবে তাদের।