সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুলিতে জখম হয়ে বেশ কয়েকঘণ্টা জীবনযুদ্ধ চালিয়েও ব্যর্থ ওড়িশার (Odisha) স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব কিশোর দাস (Naba Kisore Das)। রবিবার সন্ধেবেলা হাসপাতালের তরফে তাঁর মৃত্যু সংবাদ জানানো হয়েছে। এদিন দুপুরে ব্রজরাজনগরে মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি চলে।মন্ত্রীর বুকে গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে আসে অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর গোপাল দাসের। মন্ত্রীকে তড়িঘড়ি বিমানে উড়িয়ে আনা হয় ভুবনেশ্বরে। বেসরকারি এক হাসপাতালে ভরতি করা হয়। কয়েকঘণ্টা জীবনযুদ্ধের পর সন্ধেবেলা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রজরাজনগরেরই গান্ধী চকে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন মন্ত্রী। সেখানে গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালান অভিযুক্ত এএসআই গোপাল দাস। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই এএসআইকে।
[আরও পড়ুন: ‘ভারতে জন্মানো সকলেই হিন্দু, আমাকেও তাই বলতে পারেন’, মন্তব্য কেরলের রাজ্যপাল আরিফের]
এদিকে, অভিযুক্তের স্ত্রীর দাবি, মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন পুলিশকর্মী। এএসআইয়ের স্ত্রী জয়ন্তী দাস বলেন, “আমি জানতাম না ঠিক কী ঘটেছে। বাড়িতে ছিলাম। সকালে ভিডিও কলে মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছিল স্বামী।” এর পরেই তিনি জানান, গত সাত-আট বছর হল মানসিক অসুস্থতার কারণে চিকিৎসা চলছিল গোপালের। তবে ওষুধ খেলে সুস্থ থাকতেন। পাঁচ মাস আগে শেষবার বাড়ি এসেছিলেন।
ঘটনার পর ব্রজরাজনগরের সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার গুপ্তেশ্বর ভোই জানান, এএসআই গোপাল দাস আচমকা সার্ভিস রিভলভার বের করে মন্ত্রী নব কিশোর দাসকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। গুরুতর জখম মন্ত্রীকে দ্রুত জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছিলেন, মন্ত্রী গাড়ি থেকে বেরোনো মাত্র তাঁর উপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালান পুলিশকর্মী গোপাল। এখন জানা যাচ্ছে, পর পর চার থেকে পাঁচবার গুলি চালিয়েছিলেন এএসআই। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির সামনে লুটিয়ে পড়েন মন্ত্রী। অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করলেও উপস্থিত জনতা তাঁকে ধরে ফেলে।
[আরও পড়ুন: পাখির ধাক্কা, কলকাতাগামী বিমানের জরুরি অবতরণ লখনউতে, সমস্যায় যাত্রীরা]
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক (CM Naveen Patnaik) সতীর্থ মন্ত্রীর উপর হামলার তীব্র নিন্দা করেন। তিনি ভুবনেশ্বরে হাসপাতালে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রীর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন। এদিকে ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে রাজ্য পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। পুলিশকর্মীর মানসিক অসুস্থতার কারণেই হামলা নাকি অন্য রহস্য রয়েছে, খতিয়ে দেখবে তারা। তবে মন্ত্রীর মৃত্যুতে তদন্তের কাজ আরও জটিল হল বলে মনে করা হচ্ছে।