সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সত্যিই কি পুরীর রত্নভাণ্ডার আগলে রেখেছিল সাপ? প্রায় চার দশক ধরে বন্ধ থাকা রত্নভাণ্ডারে কোনও মানুষের প্রবেশ ঘটেনি। তাই কি কুবেরের মতো জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন পাহারা দিচ্ছিলেন 'নাগরাজ'? এই প্রশ্নের উত্তরে মুখ খুললেন ওড়িশার বিচারপতি। জানালেন, সাপের পাহারা দেওয়ার খবর নিছকই গুজব। বাস্তবে মোটেই এমনটা ঘটেনি।
গত রবিবার ৪৬ বছর পর পুরীর (Puri) রত্নভাণ্ডার খোলা হয়। সেখানে প্রবেশ করে ওড়িশা সরকারের তৈরি ১১ জনের একটি প্রতিনিধি দল। ওই দলের সভাপতি ওড়িশা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ রথ। চাবি না পেয়ে তালা ভাঙা হয় রত্নভান্ডারের ভিতরের কক্ষে প্রবেশের দরজার। এর পরই সেখানে ঢোকেন ১১ সদস্যের কমিটি। প্রায় অর্ধশতক যে প্রকোষ্ঠ খোলা হয়নি সেখানে সাপখোপ থাকতে পারে, সেই সতর্কতায় ডাক পড়েছিল সর্প বিশেষজ্ঞদেরও। যদিও সেই বিপদ ঘটেনি।
[আরও পড়ুন: এবার ভোজশালায় মিলল দেব-দেবীর মূর্তি! ASI-এর রিপোর্ট জমা হতেই শোরগোল]
রত্নভাণ্ডার (Puri Ratna Bhandar) পর্যবেক্ষণ করে দেখেন ওড়িশা (Odisha) হাইকোর্টের বিচারপতি। রত্নভাণ্ডারে সাপের অস্তিত্ব নিয়ে তিনিই সব প্রশ্নের উত্তর দেন। আমজনতার ধারণা ছিল, হয়তো ৪০ বছর ধরে বহুমূল্য রত্ন পাহারা দিয়েছেন নাগরাজ। কিন্তু বিচারপতি সাংবাদিকদের জানান, ভিতরে সাপ দেখা যায়নি। তাঁর কথায়, ‘‘রত্নভান্ডারে যে দলটি প্রবেশ করেছিল, সেখানে সাত-আট জন মন্দির কমিটির সদস্যও ছিলেন। বহুদা যাত্রা শুরু হয়েছে বলে তাঁরা ব্যস্ত ছিলেন। তাই আমরা ভাল করে খতিয়ে দেখে সব রত্ন সরানোর সময় পাইনি। বিগ্রহের অলঙ্কার, রত্ন সরানোর জন্য অন্য একটি দিন স্থির করা হয়েছে।’’
[আরও পড়ুন: অসমে CAA-তে আবেদনকারী মাত্র ৮ জন, পরিসংখ্যান দিয়ে নির্বাসনের হুঁশিয়ারি হিমন্তের]