সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের অদ্ভূতুড়ে সিরিজে চোরের গুরু তথা প্রশিক্ষকের কথা বারবার এসেছে। ওই ঘটনাকে কাল্পনিক বলে উড়িয়ে দিয়েছি বাঙালি পাঠক। যদিও গুজরাটে (Gujarat) দুই ছিনতাইবাজ ধরার পরায় বোঝা গেল, ঘটনা মোটেই কাল্পনিক নয়, বরং ঘোর বাস্তব। ধৃতেরা জানিয়েছেন, মোবাইল চুরির জন্য রীতিমতো প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তাঁরা। ৪৫ দিনের প্রশিক্ষণ। তার পরেই ‘চাকরি’ পান। মাসে বেতন ২৫ হাজার টাকা।
গুজরাট পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোবাইল চুরির ওই চক্র বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করত। ভিড়ের মধ্যে থেকে কারও মোবাইল গায়েব করে ভিন্দেশে পাচার করাই ওই চক্রের কাজ। দুই ছিনতাইবাজের নাম অবিনাশ মাহাতো (১৯) এবং শ্যাম কুর্মি (২৬)। তাঁরা আগে ঝাড়খণ্ডে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতেন। যা ছেড়ে ৪৫ দিনের মোবাইল চুরির প্রশিক্ষণ নেন। সেই মতো মেলে ‘চাকরি’ও। এই কাজের জন্য মাসে ২৫ হাজার টাকা বেতন পেতেন।
[আরও পড়ুন: বিরতির পর ফের শুরু কৃষক বিক্ষোভ, ‘আলোচনাতেই হবে সমাধান’, দাবি অনুরাগ ঠাকুরের]
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, চুরি করা মোবাইল ‘আনলক’ করে বাংলাদেশ এবং নেপালে পাঠানোর দায়িত্ব ছিল অবিনাশ ও শ্যামের উপরে। দু’জনের কাছ থেকে মোট ২৯টি আইফোন এবং ৯টি ওয়ান প্লাস ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সাধারণত একসঙ্গেই কাজ করতেন অবিনাশ ও শ্যাম। চোখের নিমেষে চুরির পরেই হাত বদল হত মোবাইল। এর পর আনলক এবং বিদেশে পাচার। যদিও ধরা পড়ায় এখন বেকায়দায় পড়েছে গোটা গ্যাংই। যাকে বলে নিয়ে ‘চাকরি’ নিয়ে টানাটানি।