সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাখির বাসা। ৪১ হাজার বছরের পুরনো। সন্ধান মিলল অন্ধ্রপ্রদেশে। উটপাখির এই বাসাটি দেখে বিস্মিত গবেষকরা। অতিকায় বাসাটিতে ছিল ৯১১টি ডিম!
ভদোদরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রত্নতত্ত্ববিদ এবং জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত এক দল অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) প্রকাশম নামের এক ফসিল অধ্যুষিত অঞ্চলে অনুসন্ধান চালাচ্ছিলেন। সেই সময়ই ওই দল আবিষ্কার করে অস্ট্রিচ পাখির বাসাটি। চওড়ায় ৯ থেকে ১০ ফুট। সেখানে ৩০ থেকে ৪০টি ডিম থাকতে পারে। কিন্তু ছিল ৯১১টি ডিম!
প্রসঙ্গত, উটপাখি একটি প্রাচীন মেগাফনাল পাখির প্রজাতি। বিরাট চেহারার এই পাখিদের মেগাফনাল গোত্রের প্রাণী হিসেবে ধরা হয়। ভদোদরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব ও প্রাচীন ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দেবরা অনিল কুমার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, ‘‘এই আবিষ্কারের মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে গেল ভারতে মেগাফনাল প্রজাতি বিলুপ্তির পথটি।’’ সেই সঙ্গেই তিনি বলেন ''১x১.৫ মিটার অঞ্চলে যেভাবে সাড়ে তিন হাজার ডিমের বিভিন্ন টুকরো পাওয়া গিয়েছে তা একদিকে দক্ষিণ ভারতে উটপাখির অস্তিত্বের দিকটি যেমন প্রমাণ করে, তেমনই বিশ্বের প্রাচীনতম উটপাখির বাসার সন্ধানও দিয়েছে।''
[আরও পড়ুন: শপথের সময় প্যালেস্টাইনের জয়ধ্বনি, উঠল ওয়েইসির সাংসদ পদ খারিজের দাবি]
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে উটপাখি পাওয়া যায় দক্ষিণ ও পূর্ব আফ্রিকায়। ঘাসবন, ঝোপঝাড়ে এরা বিচরণ করে। তবে এরই পাশাপাশি খোলা জঙ্গল ও মরুভূমিতেও দিব্যি ঘুরে বেড়াতে পারে উটপাখি। তবে কিছু সংখ্যক উটপাখি অস্ট্রেলিয়াতেও পাওয়া যায়। অতীতে ভারতেও দেখা মিলত এই পাখিটির। কিন্তু সাম্প্রতিক আবিষ্কার ফের ইঙ্গিত দিল ৪০ কেজির বেশি ওজনের জীবরা কেন এদেশ থেকে অবলুপ্ত হয়ে যায়। এই ওজনের প্রাণীদের মেগাফনা বলা হয়। যদিও এই গোত্রের অন্য প্রাণী যথা ঘোড়া, হাতি, জলহস্তির মতো প্রাণী এদেশে মোটেই বিলুপ্ত হয়নি।