shono
Advertisement

Breaking News

AI Artwork

রোবট আঁকল ‘এআই গড’! নিলামে ছবির দাম ১১ কোটি

সাড়ে সাত ফুটের লম্বাটে ক্যানভাসে আঁকা ছবিটি রাখা হয়েছিল সদবির ডিজিটাল আর্ট সেলে।
Published By: Kishore GhoshPosted: 09:06 PM Nov 09, 2024Updated: 09:07 PM Nov 09, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিল্পীর ছোঁয়ায় প্রাণ পায় বহু চিত্র। তাঁর মনন, মেধার যুগলবন্দিতে সূষ্টি হয় সৃজনের। শিল্পী ‘এআই-ডিএ’-র রং-তুলির মিশেলে সৃষ্টি হওয়া চিত্র এবার ইতিহাস রচনা করল। তাঁর আঁকা ছবি নিলামে বিক্রি হল ১৩ লক্ষ ২০ হাজার মার্কিন ডলারে। ভারতীয় মুদ্রায় ১১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা।
কে এই শিল্পী? কতটা চিন্তাশীল তাঁর মন? ক‌্যানভাসে ছবিটি আঁকার সময় তিনি ঠিক কী ভেবেছিলেন?

Advertisement

চিত্রপ্রেমীরা নিশ্চয়ই এই কথাগুলোই ভাবছেন। আসলে ‘এআই-ডিএ’ কোনও মানুষ নয়। সে এক মানুষের মতো দেখতে যন্ত্রমানবী, রোবট। কোনও রোবট যে এমন নিখুঁত দক্ষতায় রং-তুলি ব‌্যবহার করে রক্তমাংসের চিত্রকরকে চ‌্যালেঞ্জ ছুড়তে পারে, তা বোধ হয় স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি কেউ। তাই এআই-ডিএ-র আঁকা ছবি দেখে সবাই হাঁ। সেই ছবি যে বিপুল মূল্যে নিলামে বিক্রি হবে, তাও আন্দাজ করতে পারেনি লন্ডনের নিলামঘর সদবি। গণিতজ্ঞ ও কৃত্রিম মেধার জনক অ্যালান টিউরিং-এর মুখের আদলে ছবিটি এঁকেছে এআই-ডিএ।

সাড়ে সাত ফুটের লম্বাটে ক্যানভাসে আঁকা ছবিটি রাখা হয়েছিল সদবির ডিজিটাল আর্ট সেলে। খয়েরি ক্যানভাসে অ‌্যালানের মুখাবয়ব এঁকেছে যন্ত্রমানবীটি। ছবিটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘এআই গড’। যার বাংলা অর্থ করলে ‘কৃত্রিম মেধার ঈশ্বর’। এআই-ডিএ-কে ২০১৯ সালে আইডান মেলারের নেতৃত্বে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা তৈরি করেন। সদবি ভেবেছিল, ছবিটির দাম ২ লক্ষ ডলারও ছুঁতে পারবে না। খুব বেশি হলে দাম উঠতে পারে ১ লক্ষ ৮০ হাজার ডলার। কিন্তু নিলাম শুরু হওয়ার পরে দেখা যায় রোবট শিল্পীর আঁকা ছবি রেকর্ড ভেঙে ১১ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। ১৯৫০ সালে অ‌্যালান টিউরিং নাৎসিদের পাঠানো সাঙ্কেতিক বার্তার মর্মার্থ উদ্ধার করেন। তাঁর পদ্ধতি মেনেই নাৎসি ও তার বন্ধু দেশগুলিকে হারিয়ে প্রতিপক্ষ দেশগুলিকে জিততে সাহায্য করেছিল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • আসলে ‘এআই-ডিএ’ কোনও মানুষ নয়। সে এক মানুষের মতো দেখতে যন্ত্রমানবী, রোবট।
  • এআই-ডিএ-কে ২০১৯ সালে আইডান মেলারের নেতৃত্বে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা তৈরি করেন।
Advertisement