সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শোনা যায় বজ্রপাতের ফলে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছিলেন। তার পরেই অলৌকিক শক্তির অধিকারী হন! নিকশ অন্ধকারে খুলে যায় আশ্চর্য আলোর জানলা! ভবিষ্যৎ দেখার ক্ষমতা অর্জন করেন বুলগেরিয়ার পৃথিবীখ্যাত মহিলা বাবা ভাঙ্গা (Baba Vanga)। 'এযুগের নস্ত্রাদামুস' বলা হয় তাঁকে। ১৯৯৬ সালে প্রয়াত হওয়ার আগে তিনি যা বলে গিয়েছিলেন, তার মধ্যে বেশ কয়েকটি ভবিষ্যদ্বাণী অবিকল মিলে গিয়েছে! এহেন বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণীতে নাকি এও বলা হয়েছে, কবে ধ্বংস হবে পৃথিবী।
কোন কোন ভবিষ্যদ্বাণী অবিকল মিলিয়েছেন বাবা ভাঙ্গা? বুলগেরিয়ার এই মহিলার করে যাওয়া কয়েকটি ভবিষ্যদ্বাণী দেখে নেওয়া যাক।
সাইবার যুদ্ধ: আজকের এই নেট ভুবন, এআইয়ের দাপট যখন মূলত কল্পবিজ্ঞানের বিষয় ছিল সেই সময়ে দাঁড়িয়ে বাবা ভাঙ্গার পরিষ্কার দাবি ছিল, একদিন এই ইন্টারনেট যুদ্ধাস্ত্র হয়ে উঠবে। আজ যখন অ্যাপল, ম্যাক প্রভৃতি শীর্ষস্থানীয় টেক সংস্থা দাবি করছে, বার বার তাদের নিরাপত্তাজনিত সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। হ্যাকাররা তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে, এমন অভিযোগ তো বার বার শোনা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: দুর্বৃত্তকে নিরাপত্তা কেন? হাসপাতাল থেকে বেরতেই শাহজাহানকে ‘চোর’ স্লোগান উত্তেজিত জনতার]
সন্ত্রাসবাদের উত্থান: ভাঙ্গা বলে গিয়েছিলেন, জঙ্গি হানার মুখে পড়বে গোটা বিশ্ব। পরবর্তী সময়ে ৯/১১ থেকে ২৬/১১, আমেরিকা থেকে মুম্বই- বার বার সন্ত্রাসবাদীদের চক্রান্তে রক্তাক্ত হয়েছে সভ্যতা। এমন ভয়াবহ দিন যে আসতে চলেছে, তা নাকি বলে গিয়েছেন তিনি। জানিয়েছিলেন, ইউরোপ বার বার জঙ্গিদের নিশানায় পড়তে চলেছে।
চিকিৎসায় বিপ্লব: কেবলই ধ্বংস ও মৃত্যুর কথা নয়, আশার আলোও দেখিয়েছিলেন দৃষ্টিহীন ভাঙ্গা। তাঁর দাবি ছিল, চিকিৎসাশাস্ত্রে প্রভূত উন্নতি হতে চলেছে। আজকের বিশ্বে কিন্তু সেটাই দেখা যাচ্ছে। এদিকে ২০২৪ সালেই নাকি ক্যানসার ও অ্যালঝাইমার্সের মতো অসুখের ওষুধ আবিষ্কৃত হবে, এমনটাও নাকি বলে গিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে শপথগ্রহণ সোনিয়ার, মজলেন শমীকের বোনের শাড়িতে]
জলবায়ু পরিবর্তন: ভাঙ্গা সতর্ক করে গিয়েছিলেন, অত্যধিক দূষণ ও প্রাকৃতিক সম্পদ নয়ছয় করার 'শাস্তি' পেতে হবে মানুষকে। প্রকৃতি তার প্রতিশোধ নেবে। আজ যখন উষ্ণায়নের ধাক্কায় দ্রুত গলছে মেরুদেশের বরফ, গরমের দাপটে নাজেহাল মানুষ, তখন বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণীর সত্যতা প্রমাণিত হয়।
এহেন বাবা ভাঙ্গার যাবতীয় ভবিষ্যদ্বাণী কিন্তু শেষ হয়ে গিয়েছে ৫০৭৯ সালে এসে। মনে করা হয়, এর পর আর বাঁচবে না পৃথিবী। ধ্বংস হয়ে যাবে এই নীল গ্রহ। সেই অর্থে আরও তিন হাজার বছরের সামান্য সময় পর পর্যন্তই এই গ্রহের আয়ু। তবে সেই দাবি সত্যি হবে কিনা, তার উত্তর অবশ্যই এখনকার মানুষের জানা হবে না।