সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিক্ষোভ আন্দোলনের নতুন সংজ্ঞা লিখছে বাংলাদেশ। আন্দোলন, বিক্ষোভ মানেই যেন লুটপাট! সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনের জেরে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশ ছাড়েন হাসিনা। এরপর গণভবনের দখল নিয়ে বেপরোয়া লুটপাট চালায় জনতা। চেয়ার-টেবিলের মতো দামি আসবাবের পাশাপাশি ফুলের টব, এমনকী হাসিনার অন্তর্বাসও লুট হয়। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির মৃত্যুর পর বিক্ষোভে সেই দৃশ্যই যেন ফিরে এল! এবারে সংবাদমাধ্যমের কম্পিউটারের মনিটরের পাশাপাশি ফুলকপিও লুট করল ভারত বিদ্বেষী বাংলাদেশের ছাত্র-যুবরা।
জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবার রাতে নতুন করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় বাংলাদেশে। ধানমণ্ডির মুজিবের বাড়ি, ভারতীয় দূতাবাস, ছায়ানট, আওয়ামি লিগের অফিসে হামলা হয়। উত্তেজিত জনতা চট্টগ্রামে খুন করে এক সাংবাদিককে। এক সংখ্যালঘু যুবককেও হত্যা করা হয়েছে। ওই রাতে দেশের দুই সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ এবং ‘দ্য ডেলি স্টার’-এর দপ্তরে ভাঙচুরের পরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সেই সময়েই শুরু হয় জনতার লুটপাট।
একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল)। যেখানে দেখা গিয়েছে, ‘দ্য ডেলি স্টার’-এর দপ্তরে ভাঙচুর চালাচ্ছে জনতা। তখনই বেশ কয়েক জনকে মনিটর-বক্স ইত্যাদি লুট করতে দেখা যায়। এমনকী ফুলকপি-বাঁধাকপিও ছাড়েননি বিক্ষোভ আন্দোলনে নামা ছাত্রযুবর দল।
আরিফা রহমান রুমা নামের এক তরুণী ফেসবুক একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানেই দেখা গিয়েছে, মনিটর-বক্স, ফুলকপি-বাঁধাকপি লুট হচ্ছে। পোস্টের ক্যাপশানে লেখা হয়েছে, "কী চমৎকার দেখা গেল! ভাঙচুরের পর ডেইলি স্টারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নিয়ে যাচ্ছে মাহফুজ আনামের জানের টুকরো মহম্মদ ইউনুসের পোষ্যপুত্ররা।" পদ্মাপাড়ের এক সাংবাদিক লুটপাট চালানো এক যুবককে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর দেন---এগুলো জনতার সম্পত্তি। এরপর আর কথা বাড়াননি ওই সাংবাদিক।
