সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথাসাহিত্যিক প্রচেত গুপ্তের জনপ্রিয় চরিত্র সাগর 'মনোফোনে' প্রেমিকাকে ফোন করে। আসলে মনে মনে প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলে বাউন্ডুলে সাগর। প্রেমিকার উত্তরও নিজের মতো করে সাজিয়ে নেয়। জাপানের 'উইন্ড ফোন'ও আদতে 'মনোমন'। তবে এটি বেদনা থেকে উত্তরণের এক বিষণ্ণ পথ! মৃত প্রিয়জনকে ফোন করে মনের কথা বলা যায় 'উইন্ড ফোনে'। কীভাবে?
এই গল্প ইতারু সাসাকির। ২০১০ সালে তাঁর তুতো আত্মীয়র মৃত্যু হয় মারণ রোগ ক্যানসারে। এরপর পেশায় উদ্যান ডিজাইনার সাসাকির মাথায় অদ্ভূত এক আইডিয়া আসে। জাপানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ওৎসুচি শহরে প্রথমে নিজের বাড়ির বাগানে একটি উইন্ড ফোন স্থাপন করেন সাসাকি। যেটি আসলে সংযোগহীন একটি ফোন। আপনি চাইলে ওই ফোনের মাধ্যমে মৃত প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলতে পারেন! মৃতের সঙ্গে তো বাস্তবে কথা বলা যায় না, কিন্তু প্রিয়জনকে হারানো বেদনা কমানো যায় 'উইন্ড ফোন' বা 'মনোফোনে' প্রাণ খুলে কথা বলে। চাই কী প্রাণভরে কেঁদেও নেওয়া যায়।
এমন ফোন বুথ তৈরির কারণ কী? সাসাকি বলছেন, সাধারণ ফোনে তো আর মনের কথা বলা যায় না, যা উইন্ড ফোনে বলা সম্ভব। নির্জন পরিবেশের জন্য পরবর্তীকালে সাসাকি পাহাড়ের উপরে বাগান তৈরি করে সেখানে একটি উইন্ড ফোন বুথ স্থাপন করেন। সাসাকি বলেন, নির্জন পাহাড় থেকে গোটা শহরটাকে দেখা যায়। বাগানে ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে। সেই হাওয়া সংযোগহীন ফোনের ভিতরে ঢুকে অদ্ভূত এক শব্দতরঙ্গ তৈরি করে। যেন মৃতের ভাষা! গোটা পরিবেশ হয়ে ওঠে অলৌকিক। এমন পরিবেশেই তো মৃত প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলা যায়!
