সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই এসে যাবে বছরের শেষ উৎসব, বড়দিন। কেক খাওয়া, আলোয় সাজানো পার্ক স্ট্রিটে ঘুরতে যাওয়া- বড়দিন মানেই একগুচ্ছ আকর্ষণ। তবে সবচাইতে বড় আকর্ষণ- সান্টাক্লজ। রাতের বেলা গভীর ঘুমে ডুবে থাকা শিশুদের চুপিচুপি উপহার দিয়ে যাওয়া সান্তাবুড়োকে নিয়ে কৌতূহল যেন অনন্ত। কিন্তু বর্তমানে আমরা সান্টাক্লজকে যেভাবে দেখি, আদতে কিন্তু তিনি মোটেও তেমনটা নন।
সান্টাক্লজের কাহিনি নেওয়া হয়েছে সেন্ট নিকোলাসের আদলে। বর্তমান তুরস্কের মায়রা এলাকার ধর্মগুরু ছিলেন সেন্ট নিকোলাস। জনশ্রুতি বলে, দরিদ্রদের পাশে দাঁড়াতে তিনি সোনার কয়েন দিয়ে আসতেন। রাতেরবেলা সবাই যখন ঘুমিয়ে, তখন মোজার মধ্যে কয়েন ভরে জানলা দিয়ে ঘরে ঢুকিয়ে দিতেন। মধ্যপ্রাচ্যের সেই ধর্মগুরুর কাহিনি থেকেই তৈরি হয়েছে সান্টাক্লজ। লাল-সাদা পোশাক পরে মোটাসোটা সান্তাবুড়োর থেকে উপহার পাওয়ার আশায় সারাবছর ধরে অপেক্ষা করে কচিকাঁচারা।
কিন্তু আজকে যেভাবে সান্টাকে চেনে গোটা বিশ্ব, গোড়ার দিকে মোটেও সেরকম দেখতে ছিলেন না সানটাক্লজ। লাল নয়, তাঁর পোশাক ছিল গাঢ় সবুজ রঙের। মনে করা হত, শীতের রুক্ষতা কাটিয়ে বসন্তে প্রকৃতি সবুজ হয়ে ওঠার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই সান্টার পোশাক ছিল সবুজ। বড়দিনের উৎসব শেষে বসন্ত আসবে, সেই প্রতীক ছিল সান্টার পোশাক। অনেক ক্ষেত্রে আবার মাটির মতো খয়েরি পোশাকেও দেখা যেত সান্টাকে। প্রকৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিল সান্টার পোশাকের রঙ।
তাহলে আপাদমস্তক কী করে বদলে গেল সান্টার পোশাক? ১৮০০ সাল নাগাদ ইংল্যান্ডের বিশপদের আদলে লাল-সাদা পোশাকে সান্টার ছবি আঁকা শুরু হয়। তবে ১৯৩০ নাগাদ লাল-সাদা সান্টার ছবি ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। নেপথ্যে কোকাকোলা। বড়দিনের বিজ্ঞাপন বানাতে বিখ্যাত শিল্পী হ্যাডেন সান্ডব্লুমকে বরাত দেয় সংস্থাটি। তাঁর হাত ধরেই লাল-সাদা পোশাকের সান্টাক্লজ গোটা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সেই ধারা অব্যাহত আজও।
