সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন সেয়ানে সেয়ানে কোলাকুলি। বাপ-মা মরা মেয়েকে বিয়ে দিতে আয়োজনে কোনও খামতি রাখেনি কাকা-কাকিমা। তবে বরপক্ষের অতিরিক্ত লোভের সামনে মাথানত না করে তাঁদের রীতিমতো জব্দ করল কনেপক্ষ (Bride family)। পণবন্দি হল পণলোভী বর। ১৫ বিঘা জমি চাওয়ার শাস্তি হিসেবে শেষ পর্যন্ত ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে তবে রেহাই পেল বর।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) হরিদ্বার জেলার ভগবানপুর থানা এলাকায়। জানা যাচ্ছে, মঙ্গলৌরের কতোয়ালি থানা এলাকার এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল ভগবানপুর এলাকার এক যুবতীর। ২৫ এপ্রিল হওয়ার কথা ছিল বিয়ে। এই বিয়ে উপলক্ষে পাত্রপক্ষকে (Groom family) মেয়ের বাড়ির তরফ থেকে পণ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল বিস্তর সামগ্রী। যাবতীয় অলংকার ও দাবি মতো অন্যান্য জিনিসের পাশাপাশি পাত্রকে গাড়ি কিনতে দেওয়া হয়েছিল ১০ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে আবার কিছু জিনিস পাত্রপক্ষের পছন্দ না হওয়ায় তা বদলেও দেওয়া হয়। তবে এত কিছুতেও কোনওভাবেই চাহিদা মিটছিল না পাত্রপক্ষের।
[আরও পড়ুন: ভোট চলাকালীন হঠাৎ গুলির শব্দ, লুটিয়ে পড়লেন জওয়ান, চাঞ্চল্য ছত্তিশগড়ে]
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২৫ এপ্রিল বিয়ে করতে এসে মেয়ের পরিবারের কাছে ১৫ বিঘা জমি দাবি করে ছেলের পরিবার। এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন মেয়ের পরিবারের সদস্যরা। জমি দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় কনেপক্ষ। দাবি না মেটায় কনের বাড়ির লোকের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় বরপক্ষের। শেষে বিয়েতে বেঁকে বসেন বর। এর পর পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। ছেলের বাবাকে খাটিয়ায় বেঁধে ঘরবন্দি করেন মেয়ের বাড়ির লোক। বরযাত্রীদেরও আটক করে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।
[আরও পড়ুন: টাকা না পেয়ে যুবককে ৮ তলা থেকে ছুড়ে ফেলল পাওনাদার! গ্রেপ্তার ২]
পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। গ্রামের বরিষ্ঠ ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বৈঠকে বসে কনেপক্ষ ও পাত্রপক্ষ। মেয়ের বাড়ির তরফে জানানো হয় এই বিয়ের জন্য যে টাকা খরচ হয়েছে সব টাকা মেটাতে হবে ছেলের বাড়ির লোকদের। দীর্ঘ আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত মেয়ের বাড়ির লোকেদের ২০ লক্ষ টাকা মিটিয়ে মুখে কার্যত চুনকালি মেখে ঘরে ফেরে পাত্রপক্ষ। যদিও এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পণ নেওয়া বেআইনি জেনেও পুলিশ কেন বরের বাড়ির লোকেদের গ্রেপ্তার করল না, সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।