সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন মা। কিন্তু শোকপালন তো দূর, ছেলের মন তখন মায়ের গয়নায়! কয়েকটা রুপোর চুড়ি 'হাতাতে' ছেলে এতই মরিয়া যে দু'ঘণ্টা ধরে পড়ে রইল মায়ের দেহ। কারণ রুপোর চুড়ির দাবিতে ছেলে তখন চড়ে বসেছেন চিতায়। চুড়ি না পেলে মায়ের দাহকাজ সম্পন্ন হবে না, সাফ জানিয়ে চিতায় বসে রইলেন ছেলে।
আজব ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের জয়পুরে। জানা গিয়েছে, গত ৩ মে দুপুরে মৃত্যু হয় ভূরি দেবীর। তাঁর মোট সাত পুত্র। তাদের মধ্যে ৬ জন গ্রামের বাড়িতে ভূরি দেবীর সঙ্গেই থাকতেন। তবে পঞ্চম সন্তান ওমপ্রকাশ গত তিন-চার বছর ধরে আলাদা থাকতেন গ্রামের বাইরে। মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে গ্রামে ফেরেন ওমপ্রকাশ। আর সেখানেই বিপত্তি। মায়ের গয়নার ভাগ নিয়ে তুমুল অশান্তি বাঁধান তিনি। তর্কাতর্কি শুরু হয় শেষকৃত্যের বদলে।
জানা গিয়েছে, ভূরি দেবীর মৃত্যুর পর বাড়িতেই শেষকৃত্যের কিছু নিয়ম পালন করা হয়। তারপর শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয় দাহকাজের জন্য। মায়ের দেহ কাঁধে নিয়ে যান ওমপ্রকাশও। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর ভূরি দেবীর হাতে থাকা রুপোর চুড়িগুলি খুলে দেওয়া হয় তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র গিরিধারীকে। সেই নিয়েই তীব্র প্রতিবাদ জানান ওমপ্রকাশ। সাফ জানিয়ে দেন, মায়ের চুড়িগুলো তাঁকেই দিতে হবে।
রুপোর চুড়ি ঘিরে বিবাদ ক্রমেই বাড়তে থাকে। তুমুল তর্কাতর্কির মধ্যে আচমকাই চিতার উপরে চড়ে বসেন ওমপ্রকাশ। মায়ের চুড়ি না পেলে নড়বেন না, সাফ জানিয়ে দেন। ভূরি দেবীর নিথর দেহ তখন সৎকারের অপেক্ষায় রাস্তায় পড়ে। তাঁর বাকি ৬ সন্তান দেহ আগলে রেখেছিলেন। কিন্তু ওমপ্রকাশ তাঁর দাবিতে অনড়। চুড়ি না পেলে মায়ের সঙ্গে তাঁকেও জ্বালিয়ে দেওয়া হোক বলেও দাবি করেন ওমপ্রকাশ। প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে চলে বচসা। শেষপর্যন্ত ওমপ্রকাশের হাতে তুলে দেওয়া হয় রুপোর চুড়ি। ভাইরাল হয়েছে গোটা কাণ্ডের ভিডিও।
