গল্প নয়, সত্যি! ময়নাতদন্তের টেবিলে সটান উঠে বসল ‘মৃতদেহ’, যন্ত্রণায় জুড়ল চিৎকার

02:00 PM Nov 30, 2020 |
Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনায়াসে ভূতের সিনেমা বলে গোটা ঘটনাটাকে চালিয়ে দেওয়া যেতে পারে। কিংবা কোনও সাসপেন্স মুভি। অটোপ্সি টেবিলে হঠাৎ জেগে উঠল ‘মৃতদেহ’ (Deadbody)। জুড়ে দিল চিৎকার। ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছিলেন মর্গের কর্মীরা। কিন্তু না, কোনও ভূতের গপ্পো, না কোনও সাসপেন্স মুভি। কঠোর বাস্তব। চিকিৎসায় গাফিলতির ফল।

Advertisement

কেনিয়ার বুরেত্তি অঞ্চলের একটি ছোট গ্রামের বাসিন্দা বছর ৩২-এর পিটার কিগেন। পেটের কিছু সমস‌্যা নিয়ে ভুগছিলেন তিনি। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, পেটের চিকিৎসার জন‌্যই কেরিচো এলাকার কাপলাটেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। শেষ পর্যন্ত তাতেই ‘কোলাপ্স’ করে যান পিটার। অন্তত চিকিৎসকরা তা-ই বলেছিলেন। নার্স পরিবারের সদস‌্যদের তা জানিয়ে দেন। সাধারণ আইন মেনেই এরপর পিটারের ‘দেহের’ ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

[আরও পড়ুন : আধুনিক সমাজ থেকে দূরে গিয়ে জঙ্গলবাসী তিনি, জাকার্তায় খোঁজ মিলল বাস্তবের ‘‌মোগলি’‌র]

ঘণ্টা চারেক পর যখন সেই প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে, তখনই হঠাৎ টেবিলে যন্ত্রণায় চিৎকার করে ওঠেন। আসলে মর্গের (Morgue) কর্মীরা কিগেনের পায়ের শিরা কেটে শরীর থেকে রক্ত বের করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর সময়েই চেঁচিয়ে ওঠেন তিনি। প্রথমে মর্গের কর্মীরা প্রচণ্ড ভয় পেয়ে যান। তবে ঘাবড়ে গেলেও তাঁরা বুঝতে পারেন যে কিগেন আসলে মারা যাননি। শুধুমাত্র অচেতন হয়ে ছিলেন।

Advertising
Advertising

অচেতন এক ব‌্যক্তিকে ‘মৃতের’ তকমা দিয়ে তাঁকে দেহ মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পায়ের শিরা কাটায় সময়ই চেতনা ফিরে আসে কিগেনের। অবিলম্বে কিগেনকে মর্গ থেকে ফিরিয়ে এনে ফের চিকিৎসা শুরু করা হয়। তবে এই ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা। কীভাবে একজন জলজ্যান্ত মানুষকে মৃত বলে ঘোষণা করলেন চিকিৎসকরা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

[আরও পড়ুন : নাক নিয়ে নাকাল! পঞ্চাশ বছর ধরে আটকে থাকা কয়েন ঘটাল মহা বিপত্তি]

Advertisement
Next