সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিদি বোনের সম্পর্ক মানেই আদর, মিষ্টি খুনসুটি আর ঝগড়া।পৃথিবীর কোনও প্রান্তেই এর অন্যথা হতে দেখা যায় না। খুনসুটি যতই হোক, দিদি কিন্তু বোনের অভিভাবকের থেকে কম কিছু নয়। যতই ঝড়ঝাপটা আসুক না কেন, বোনকে আগলে রাখতে দিদির জুড়ি মেলা ভার। তেমনই এক দিদি-বোন জুটির সাক্ষী মণিপুরের (Manipur) একটি গ্রাম। ছোট্ট বোনকে কোলে নিয়েই স্কুলে বসে পড়াশোনা করছে দিদি, এমনই দৃশ্য ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। ছবিটি বেশ ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? জানা গিয়েছে, মণিপুরের ওই মেয়েটির (Manipur Girl) বয়স বছর দশেক। তার নাম মেইনিংসিংলিউ পামেই। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর পরিবারে মা-বাবা আর বোন আছে। বাড়ির বড়রা চাষের কাজে বেরিয়ে যান। তাই স্কুলে যেতে হলে দু’বছর বয়সি ছোট বোনকে বাড়িতে একাই থাকতে হবে। কিন্তু ছোট বোনকে চোখের আড়াল করে একা ফেলে কী করে বেরিয়ে যায় দিদি? তাই নতুন উপায় বের করে ফেলে মেইনিংসিংলিউ। বোনকে কোলে নিয়েই স্কুলের পথে হাঁটা দেয় সে। ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে বোনকে সামলায় (Babysitting)। একইসঙ্গে পড়াশোনাতেও মন দেয়। ক্লাসে নোটসও লেখে বোনকে কোলে নিয়েই। দশ বছরের মেয়ের এমন মাতৃসুলভ লড়াই করে পড়াশোনার কথা নিমেষে ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
[আরও পড়ুন: আর্থিক সংকটে জেরবার দেশ, জনতার পাশে দাঁড়িয়ে মুখ খুললেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা]
ছবিটি নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে মণিপুরের কৃষিমন্ত্রী থোঙনাম বিশ্বজিৎ সিংয়ের টুইট থেকে। তিনি মেইনিংসিংলিউয়ের একটি ছবি দিয়ে লিখেছেন, “পড়াশোনার (Education) প্রতি ওর আগ্রহ এবং নিষ্ঠা আমাকে অবাক করে দিয়েছে।” এই টুইট থেকেই জানা যায় এই স্নেহময়ী মেয়েটির আসল পরিচয়। বিশ্বজিৎ লিখেছেন, “এই দশ বছর বয়সি মেয়েটির নাম মেইনিংসিংলিউ পামেই, সে স্কুলে আসে বোনকে নিয়ে। বোনের দেখাশোনাও সেই করে। কারণ তাদের অভিভাবকরা কাজের জন্য বেরিয়ে যান।” ছবিতে যেমনটি দেখা যাচ্ছে, বোনকে কোলে নিয়েই খাতায় পেন্সিল চালাচ্ছে মেইনিংসিংলিউ।
এই দৃশ্য দেখে এবং ঘটনাটি শুনে যারপরনাই অবাক নেটিজেনরা। তার মধ্যে অন্যতম ভারতের শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি ছবিটি টুইট করে লিখেছেন, “এই ছবিটির মধ্যে আলাদা শক্তি রয়েছে।ছবিটি দেখলেই বোঝা যায় আমাদের সন্তানরা পড়াশোনা করতে কত আগ্রহী, বিশেষত মেয়েরা।” আরেকজন টুইট করে লিখেছেন, “এই খুদে সৈনিককে আমি শ্রদ্ধা জানাই। ও জানে শিক্ষা কতকিছু দিতে পারে।”