বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: গরুমারা জঙ্গল লাগোয়া জলঢাকা নদীপাড়ে প্রকৃতি পুজো করে ভক্তদের নিয়ে অভিনব চড়ুইভাতি সাধুদের। রামশাই এলাকার ঘটনা। দিনভর বৃক্ষরোপণ, গীতাপাঠ, প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ-সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। ঘুরে দেখেন পরিযায়ী পাখি, গন্ডার, হাতিদের আবাসস্থল। সবশেষে খাবারের পাতে ছিল নিরামিষের পঞ্চব্যঞ্জন।
সাধু-সন্ন্যাসীরা দুটি বড় বাস, চারটি ছোট গাড়ি নিয়ে চড়ুইভাতিতে এসেছেন শুনে এদিন স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই কৌতুহলী ছিলেন। ভিড় করে উপভোগ করেছেন অভিনব উদ্যোগ। চড়ুইভাতিতে অংশ নিয়েছেন শতাধিক মহিলা ও পুরুষ। ম্যারাপ পেতে তাঁরা সাধুদের গীতাপাঠ শোনেন। নদীপাড়ের ফাঁকা জমিতে জাম, শাল, বকুলের মতো গাছ বোনেন। এর পরই শুরু হয় প্রকৃতি পুজো।
[আরও পড়ুন: আদালত চত্বরেই সিবিআই আইনজীবীর হেলমেট চুরি! বিচারক বললেন, ‘সবাই মিলে খুঁজুন’]
সাধুদের মধ্যে মথুরেশ গোস্বামী দাস এবং আনন্দমোহন দাস ভক্তদের শেখান কেন প্রকৃতিকে ভালোবাসতে হয়। তাঁরা জানান, “সবুজ গাছগাছালি, নদী, পাহাড় ঘেরা প্রকৃতি ঈশ্বর। তাঁকে রক্ষা করতে হবে। সৎভাবে জীবনযাপন যেমন জরুরি একইভাবে প্রকৃতি রুষ্ট হবে এমন কাজ আমাদের করা উচিত নয়।” অভিনব ওই চড়ুইভাতি ছিল প্লাস্টিক মুক্ত। মাটির ভাঁড়, কলাপাতা ব্যবহার করে সাধুরা প্রকৃতিকে দূষণমুক্ত রাখার পাঠ দেওয়া হয়। এদিন সকালে রামশাই এলাকায় জলঢাকা নদীপাড়ে পৌঁছে প্রকৃতি নৈসর্গিক সৌন্দর্যে অভিভূত ছিলেন প্রত্যেকে।
ওই দলের গাইড প্রকৃতিপ্রেমী নন্দু রায় বলেন, “এই ধরনের চড়ুইভাতি এর আগে দেখিনি। পুরো সময় প্রকৃতি প্রেমের বিষয়ে পাঠ দিয়েছেন সাধুরা।” সবুজ প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে একাকার ছিলেন প্রত্যেকে। ছিল টিফিনের ব্যবস্থা। দুপুরে খাবারের মেনুতে ছিল পালং পনীর, ডাল, বেগুনি, রকমারি শাক ও ভাজা, আলু-ফুলকপির ডালনা, চাটনি, পায়েস।