সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রামকৃষ্ণ পরমহংস মনে করতেন ‘যত মত তত পথ।’ ওয়াটর-জল-পানীর ভিন্ন উচ্চারণ বিরাট মহাসাগরকে সংকীর্ণ করতে পারে না। সম্প্রতি পাঞ্জাবের (Punjab) এক গুরুদ্বারের ঘটনা সেই বাণীকে মনে করিয়ে দিয়েছে। ওই গুরুদ্বারে পাশাপাশি প্রার্থনা করলেন শিখ ও মুসলিম সম্প্রদায়। একইসঙ্গে গুরু গ্রন্থ সাহিব পাঠ এবং নমাজপাঠ চলল। এমনকী শিখ ধর্মস্থানের লঙ্গরখানায় (খাবার জায়গায়) ইফতার পার্টি হল, দৈনিক রোজা ভাঙলেন মুসলিমরা।
সাম্প্রতিক ভারতে বিভাজনের রাজনীতিতে অভিযুক্ত অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। তার মধ্যেই লোকসভা ভোটের আগে পাঞ্জাবের মালেরকোটা জেলার কৈলান গ্রামের ঘটনা ভারতের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সংবিধানকে মান্যতা দিল। সেখানে গুরুদ্বার চত্বর বা দরবার সাহিবে একসঙ্গে চলল শিখদের পাঠ এবং মুসলিমদের নমাজ। লঙ্গরখানায় ইফতার পার্টিতে অংশ নেওয়া ড. নাসির আখতার বলেন, ‘এই ঘটনা সম্ভবত পৃথিবীতে প্রথমবার ঘটল’।
[আরও পড়ুন: ‘অনেক বড় দায়িত্ব, বিজেপির মান রাখব’, বললেন রামরাজ্যের প্রার্থী ‘রাম’ অরুণ গোভিল]
এদিন গুরুদ্বারে উপস্থিত হন কমপক্ষে ৩০ জন মুসলিম অতিথি। দুই সম্প্রদায়ের গ্রামবাসীদের সম্পর্কের উষ্ণতা দেখে মুগ্ধ ড. নাসির। তিনি জানান, দুই শিখ ভাই মিলে গুরুদ্বারে এই আয়োজন করেছিলেন। যাকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তথা সৌভ্রাতৃত্বের আদর্শ উদাহরণ বলা যেতে পারে। গুরুদ্বারের প্রধান পুরোহিত বাবা গুরুসেবক সিংকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন সকলেই। শিখ সম্প্রদায়ের তরফে বছর বিয়াল্লিশের জগতার সিং বলেন, ‘পাঞ্জাব হল গুরু এবং পীরদের পূন্যভূমি। যাঁরা ভারত-সহ গোটা পৃথিবীকে সোভ্রাতৃত্ব তথা শান্তির বার্তা দিয়েছেন।