সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিবাহিত হলেও ১৮ বছরের কম বয়সিকে নাবালিকা হিসাবেই গণ্য করে আইন। তাই তার অনুমতি থাকলেও যৌন সম্পর্ক ধর্ষণের শামিল। তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিল বম্বে হাই কোর্ট। আদালত বলছে, যদি ধরেও নেওয়া হয় নাবালিকে স্ত্রীর সম্মতিতে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন অভিযুক্ত, তাতেও তাঁর অপরাধ লঘু হয় না।
স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগটি তুলেছিলেন মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধার এক তরুণী। তাঁর অভিযোগ, ওয়ার্ধাতে অভিযুক্ত যুবক তাঁদের বাড়ির কাছেই থাকতেন। তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে। কিন্তু প্রথমে তাতে রাজি হননি ওই তরুণী। পরে কাজের সূত্রে ওই তরুণীকে পাশের শহরে যেতে হয়। ওই যুবকও তাঁর পিছু নেয়। পাশের শহরে গিয়ে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে, প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। একদিন নাবালিকাকে নিজের বাড়িতে ডেকে প্রতিবেশীদের সাক্ষী রেখে সামাজিক মতে বিয়ে করে ওই যুবক। দুজনের মধ্যে স্বাভাবিক নিয়মেই যৌন সম্পর্কও তৈরি হয়। ঘটনাচক্রে তখনও ওই তরুণী নাবালিকা ছিলেন।
কিছুদিন বাদেই ওই যুবকের ব্যবহারে বদল আসে। অভিযোগ, নিজের তথাকতিত বিয়ে করা স্ত্রীর উপর অত্যাচার শুরু করেন তিনি। অতিষ্ঠ হয়ে যুবকের বাড়ি ছাড়েন নির্যাতিতা তরুণী। ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন তথাকথিত স্বামীর বিরুদ্ধে। সেই মামলায় নিম্ন আদালত ওই যুবককে ১০ বছরের জেলের নির্দেশ দেয়। বম্বে হাই কোর্টও সেই রায় বহাল রাখল।
সুপ্রিম কোর্টের এক রায়কে উদ্ধৃত করে বম্বে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, নাবালিকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক তাঁর অনুমতি সাপেক্ষ হলেও সেটা ধর্ষণ। ওই নাবালিকা বিবাহিত কিনা, সেটা এক্ষেত্রে বিচার্য নয়। আইন অনুযায়ী, তাঁর 'সম্মতি' গণ্য করা যায় না। আদালত বলছে, "যদি ধরেও নেওয়া হয় অভিযুক্ত নির্যাতিতাকে বিয়ে করেছিলেন, তার পরও নাবালিকা অভিযোগ করেছেন। যার অর্থ ওই যৌন সম্পর্কে তাঁর সম্মতি ছিল না।"