সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডাক্তারদের হাতের লেখা, তাদের সই বা সিগনেচারের (Signature) মতো অদ্ভূত জিনিস এ পৃথিবীতে কমই আছে। নেহাত ওষুধের দোকানের লোকগুলোর ‘দিব্যদৃষ্টি’ রয়েছে, নাহলে ওই লেখা উদ্ধার করার আগেই রোগীদের অবস্থা খারাপ হত। তারপরেও এমন সইয়ের কথা কিন্তু ভাবা যায় না, এই মুহূর্তে যা ভাইরাল হয়েছে ভূভারতে। আসুন, সময় নষ্ট না করে আগে দেখেনি ভয়ংকর সেই সিগনেচারটি।
দেখা যাচ্ছে সিগনেচারটি গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (Gauhati Medical College and Hospital) অর্থোপেডিক বিভাগের রেজিস্ট্রারের। পাশে তারিখ ৪ মার্চ, ২০২২। অর্থাৎ মাস খানেক আগেই কোনও একটি বিষয়ে এই সই করেছিলেন অর্থোপেডিক বিভাগের রেজিস্ট্রার মহাশয়। কিন্তু আসল প্রশ্ন তো মাস খানেকের নয়, প্রশ্ন হল, দিনের পর দিন ধরে এমন সই কেউ কী ক’রে করে? এমন জিনিস মনে রাখা তো বিরাট চাপের! আশ্চর্য এই সই দেখে এক নেটিজেন বলেওছেন, এমন সিগনেচার আরেকবার করতে পারবেন ভদ্রলোক?
[আরও পড়ুন: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, লোকসভায় ওয়াকআউট তৃণমূল সাংসদদের]
সিগনেচার বা স্বাক্ষরের সংজ্ঞা বলছে, স্বাক্ষর হল ব্যক্তিগত পরিচয়ের চিহ্ন। একটি সই প্রমাণ করে একটি ঘটনার সময় এক ব্যক্তি শারীরিকভাবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ফলে প্রত্যেকের ক্ষেত্রে তা স্বতন্ত্র হওয়াই বাঞ্ছনীয়। এছাড়াও সই নকল করে দুর্নীতির বিষয়টিও থাকে। ফলে সকলেই এই বিষয়ে সতর্ক থাকেন এবং একটি স্বতন্ত্র সই উদ্ভাবন করেন। তাই বলে কাগজের পাতায় সজারু এঁকে সিগনেচার বলে চালানো! এক নেটিজেন তো বলেই দিয়েছেন, মনে হয় লোকটা একাধিকবার লাইন টেনে দেখছিল কলম ঠিক আছে কিনা!
[আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! মাইক্রোওয়েভ থেকে উদ্ধার দু’মাসের শিশুকন্যার দেহ, প্রশ্নের মুখে বাবা-মা]
গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের রেজিস্ট্রারের বিদ্ঘুটে সিগনেচার দেখে আরেক নেটিজেন যা বলেছেন তা হয়তো আমাদের সকলেরই মনের কথা। তিনি বলেছেন, অনেক অদ্ভূত সই দেখেছি কিন্তু এমন দেখিনি জীবনে। আর হ্যাঁ, ক’টা লম্বা লাইন টানা হয়েছে ভাইরাল এই সিগনেচারে? তা নিয়েও শুরু হয়েছে জোর চর্চা।