অর্ণব দাস, বারাসত: সন্ধ্যায় চুরি হয়েছিল নগদ টাকা এবং প্রায় দেড়শো গ্রাম সোনার গয়না (Gold Ornaments)। পরের দিন, রবিবার সকালে সেই সোনার গয়না ফেরত দিল চোর! উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া (Habra) থানার শ্রীপুরের এই ঘটনায় সকলে বিস্মিত তো বটেই, চোরের এহেন ‘দয়ালু’ হওয়ার কারণ নিয়ে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও অনেকেই আবার বলছেন, চুরিই হয়নি, সব নাটক!
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবড়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীপুরের বাসিন্দা সুদীপ চক্রবর্তী। তিনি পেশায় বারাসত (Barasat) আদালতের ল’ক্লার্ক। শনিবার সন্ধ্যায় তাঁর দোতলা বাড়ির নিচতলায় ছিলেন শুধু বৃদ্ধা মা। রাত আনুমানিক ন’টা নাগাদ তিনি এবং তাঁর স্ত্রী বাড়িতে ফিরে দোতলার ঘরে গিয়ে দেখেন, আলমারি ভাঙা। লন্ডভন্ড অবস্থায় রয়েছে বাড়ির সমস্ত জিনিসপত্র। চুরি (Theft) হয়েছে নগদ সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা, প্রায় দেড়শো গ্রাম ওজনের সোনার গয়না, বেশ কিছু রুপোর অলংকার। মাথায় হাত পড়ে তাঁদের।
[আরও পড়ুন: ভাত-কাপড়ের অঙ্গীকার ভুললে চলবে না, খোরপোশ দিতেই হবে, নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের]
চুরির ঘটনা জানিয়ে রাতেই সুদীপবাবু হাবড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। রাতেই বাড়িতে পুলিশ পৌঁছে প্রাথমিক তদন্তের কাজ শুরু করে দেয়। কিন্তু অবাক করা ঘটনা ঘটে রবিবার সকালে। আনুমানিক সকাল সাতটায় ছাদের দরজা খুলতেই দেখা যায়, প্লাস্টিকের ব্যাগে পড়ে রয়েছে চুরি যাওয়া সোনার গয়না। সুদীপ চক্রবর্তী বলেন, “রাতে বাড়ি ফিরে দেখি নগদ সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা এবং প্রায় দেড়শো গ্রাম সোনার গয়না চুরি হয়েছে। দুশ্চিন্তায় রাতে ঘুমোতে দেরি হয়। এরপর সকালে ঘুম ভাঙার পর স্ত্রী জানায় ছাদে প্লাস্টিক ব্যাগে কিছু রয়েছে। গিয়ে দেখি, প্লাস্টিক ব্যাগের ভিতরে রয়েছে চুরি যাওয়া সব গয়না। মনে হয়, ব্যাগটি ছাদে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে।”
[আরও পড়ুন: যুবতীকে গণধর্ষণ করে খুন চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্মীদের! অ্য়াম্বুল্যান্সে মিলল রক্তাক্ত দেহ]
পুলিশ জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। বাড়িতে নগদ ঠিক কত টাকা ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরেকদিকে প্রতিবেশীদের গুঞ্জন, ওদের পারিবারিক ঝামেলার জন্য পরিবারেরই কেউ ওইসব টাকা, গয়না হাতিয়েছিল। পরে বিপদ বুঝে ফেরত দিয়ে গিয়েছে সব।