সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সতেরোতম সন্তানের জন্ম দিলেন রাজস্থানের এক ৫৫ বছরের মহিলা। তাঁর পরিবারের গ্রাসাচ্ছেদনের পেশা কাগজকুড়ানির। সেই সঙ্গে প্রবল পরিমাণে ঋণগ্রহণ তো আছেই। এহেন পরিস্থিতিতেও সন্তানজন্মের বিরাম নেই! উদয়পুরের ওই মহিলার এক কন্যার কথায়, ''সকলেই অবাক হয়ে যায় আমার মায়ের এতগুলি সন্তান রয়েছে জেনে!''
রেখা নাম্নী ওই মহিলার স্বামী কাভরা জানাচ্ছেন, প্রবল আর্থিক অসঙ্গতির মধ্যেই দিন কাটে তাঁদের। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিয়ে ২০ শতাংশ সুদে টাকা ধার করতে হয়েছে। এর জন্য লাখ লাখ টাকা বেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও বাকি রয়ে গিয়েছে সুদের টাকা শোধ করা।'' জানা যাচ্ছে, রেখার চারটি পুত্রসন্তান ও এক কন্যার মৃত্যু হয়েছিল জন্মের পরই। বাকি সন্তানদের মধ্যে পাঁচজনের বিয়ে হয়েছে। তাঁদেরও কারও কারও সন্তান হয়েছে। কিন্তু রেখা ফের জন্ম দিলেন আরেক সন্তানের। এতজনের থাকার জায়গা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কাভরা জানাচ্ছেন, ''প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনায় একটি বাড়ি আমরা পেয়েছিলাম। কিন্তু তবুও গৃহহীনই থাকতে হয়েছে, কেননা জমিটা আমাদের নামে ছিল না। খাবার, শিক্ষা এবং পরিবারের সদস্যদের বিয়ে দেওয়ার ক্ষমতাও আমার নেই। রোজ রোজ এই সমস্যা ভুগিয়ে চলেছে।''
যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সতেরোতম সন্তানের জন্ম দিয়েছেন রেখা, সেখানকার স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ রোশন দারাঙ্গি বলছেন, ''রেখা যখন ভর্তি হয়েছিলেন, তাঁর পরিবার জানিয়েছিলে ওঁর চারটি সন্তান রয়েছে। পরে আমরা জানতে পারি এই সন্তান রেখার সতেরোতম সন্তান।'' স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় চমকে গিয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরা। অবাক হচ্ছেন পরিবারের সঙ্গে পরিচিত সকলেই।
