সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাঁদের পাহাড় উপন্যাসে গুপ্তধনের সন্ধানে জড়িয়ে পড়ে নায়ক শংকর। ব্ল্যাকা মাম্বা সাপ আর বাওবাব গাছের সেই দেশ আফ্রিকাতেই (Africa) বিশ্বের সবচেয়ে বড় পান্না (World’s Largest Uncut Emerald Gemstone) আবিষ্কার করলেন এক বাঙালি যুবক। বাঙালি তথা ভারতীয় ভূতত্ত্ববিদের নাম মানস বন্দ্যোপাধ্যায় (Manas Banerjee)। বিরল কাণ্ডের ফলে গিনেস রেকর্ড বুকে (Guinness World Record Book) উজ্জ্বল অক্ষরে লেখা হল ঘরের ছেলে মানসের নাম। ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে।
আফ্রিকার জাম্বিয়ার খনি কাজেম থেকে মিলেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পান্না। না-কাটা পান্নাটির ওজন ১ কেজি ৫০৫ গ্রাম। এই আবিষ্কার অবশ্য ঠিক সাম্প্রতিক নয়। ৭৫২৫ ক্যারাটের পান্নাটি উদ্ধার করা হয় ২০২১ সালের জুলাই মাসে। অপূর্ব আবিষ্কারটির সঙ্গে ভারতীয় ভূতত্ত্ববিদ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আরেক রিচার্ড কাপেটা নামের আরও একজন। এইসঙ্গে ছিল সাহায্যকারী দল।
[আরও পড়ুন: বাড়িতে জোরে গান বাজিয়ে মা ও বোন-সহ পরিবারের ৪ সদস্যকে কুপিয়ে ‘খুন’, গ্রেপ্তার কিশোর]
সম্প্রতি গিনেস বুক অফ রেকর্ড মানস, রিচার্ডের সঙ্গে গোটা দলটিকেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় পান্না আবিষ্কারের কৃতিত্ব দিয়েছে। মানসের আবিষ্কৃত পান্নাটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘চিপেমবেল’। জাম্বিয়ার স্থানীয় বাম্বা ভাষায় যার অর্থ গণ্ডার। গণ্ডার কেন? যেহেতু উদ্ধার হওয়া না-কাটা পান্নাটির আকৃতি অনেকটা গণ্ডারের মুখের মতো।
এর আগেও জাম্বিয়ার বিখ্যাত রত্নের খনি কাজেম থেকে বড় চেহারার তথা বেশি ওজনের পান্না মিলেছে। ২০১০ সালে মেলে ১ কেজি ২৪৫ গ্রাম ওজনের পান্না ‘ইনফোসু’ বা হাতি। ২০১৮ সালে ১ কেজি ১৩১ গ্রাম ওজনের আরও একটি পান্না আবিষ্কার হয়। নামকরণ হয় ইনকালামু। যার অর্থ সিংহ। তবে সিংহ ও হাতিকে ছাপিয়ে গিয়েছে গণ্ডার।
[আরও পড়ুন: ঘনঘন এই অপশব্দটি ব্যবহার করেন? যৌন হেনস্তার মামলায় ফাঁসতে পারেন আপনিও]
দামি ‘গণ্ডার’ সূত্রেই গিনেস রেকর্ড বুকে লেখা হল বাঙালির নাম। লিঙ্কডিন অ্যাকাউন্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, মানস বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরের বাসিন্দা। এর আগে মধ্য আফ্রিকা ও সৌদি আরবে খনি বিশেষজ্ঞ হিসাবে কাজ করেন তিনি। ২০২১ সালের জুলাই মাসে বিশ্বের সবেচেয়ে বড় পান্না উদ্ধারের ছ’মাস পর কাজেম ছাড়েন এই ভূতত্ত্ববিদ।