shono
Advertisement

মন্ত্র পড়ে, লোক খাইয়ে নিজেরই শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করলেন তান্ত্রিক, এরপর…

কী পরিণতি হল তাঁর?
Posted: 06:27 PM Oct 10, 2020Updated: 06:30 PM Oct 10, 2020

শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: জীবিত অবস্থাতেই নিজের শ্রাদ্ধশান্তি করেছিলেন উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) হেমতাবাদের এক তান্ত্রিক (Tantrik)। আর তার ঠিক ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই রহস্যজনকভাবে তাঁর মৃত্যু হল। ঘটনা ঘিরে স্বভাবতই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পরিবার ও প্রতিবেশীদের মধ্যে। শনিবার সকালে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বারুইবাড়ির জালিপাড়ার বাড়িতে অবিনাশ বর্মন নামে বছর পঁচিশের যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয় বিছানা থেকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠায়। শুরু হয়েছে তদন্ত।

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্রতি বছর কুমারী মেয়ে বিয়ে করেন আফ্রিকার এই দেশের রাজা, জানেন কেন?]

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত অবিনাশ বর্মন পেশায় তান্ত্রিক ছিলেন। তাঁর অন্তত সাড়ে চার হাজার ভক্ত ছড়িয়ে রয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে। শনিবার তাঁর এই অস্বাভাবিক মৃত্যুতে বিস্মিত তাঁরাও। যুবকের মা গীতারানি সরকার বলেন,”বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির উঠোনে ছেলে নিজেই নিজের শ্রাদ্ধের আয়োজন করে। পুরোহিত ডেকে নিজের মৃত্যুর আগেই মন্ত্রোচ্চারণের করে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করে। শুক্রবার পাড়ায় কয়েকজনকে বাড়িতে ডেকে দই-চিঁড়ে আর ভাত-ডাল খাওয়ায় সে। তারপর সন্ধেবেলা ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়, রাতে কিছু আর খায়নি। তারপর সকালে দেখি, ঘরের দরজা খোলা। ঘরে গিয়ে ডাকাডাকি করেও কোন উত্তর না পেয়ে প্রতিবেশীদের খবর দিই।”

পরিবার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে মৃত নাতির মতই ছাব্বিশ বছর আগে অবিনাশের ঠাকুমা আশুবালাদেবী একইভাবে মৃত্যুর ৪৮ ঘণ্টা আগে নিজের পারলৌকিক অনুষ্ঠান করেছিলেন। তাহলে কি তাঁরা দু’জনই নিজেদের মৃত্যুর সংকেত পেয়েছিলেন আগে থেকে? তাই কি নিজেদের শ্রাদ্ধ সেরেছিলেন নিজেরাই? এসব প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে পাড়ায়।

[আরও পড়ুন: OMG! মাত্র ১৬ বছর বয়সেই প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে এই কন্যা, জানেন কোথায়?]

ছোট ছেলের এই অস্বাভাবিক মৃত্যুতে রীতিমতো বিস্মিত পেশায় রাজমিস্ত্রি বাবা মণিকৃষ্ণ বর্মন। তিনি বলেন,”কাজের জন্য সারাদিন রাড়ির বাইরে থাকি। শুক্রবার সন্ধেবেলা বাড়ি ফিরে ঘুমিয়ে পড়ি। তারপর আজ সকাল দেখতে পাই, ছেলে ঘরে মরে পড়ে আছে। কিছুই বুঝতে পারছি না। কয়েকদিন আগেই ছেলে বলছিল স্বেচ্ছায় মারা যাবে। কিন্তু সেটা যে এভাবে সত্যি হবে, তা ভাবতেই পারিনি।” তিনি এও জানান, “চার ছেলের মধ্যে কনিষ্ঠ ছেলে ছিল অবিনাশ। তবে আমার মায়ের জীবিত অবস্থায় শ্রাদ্ধ করতে হয়েছিল। কিন্তু একইভাবেই শ্রাদ্ধের পরেই ছেলেকে সারাজীবনের জন্য হারাতে হবে, এটা কোনদিন ভাবতে পারিনি।”

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করে মৃত্যুর কারণ খোঁজার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, শনিবার বিকেলে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়, ময়নতদন্তের রিপোর্টে বিশেষ কিছু মেলেনি। সম্ভবত হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে অবিনাশের। তবে মৃতের ভিসেরা পরীক্ষার জন্য কলকাতার ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হতে পারে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup ছাঁদনাতলা toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার