অর্ণব আইচ ও দীপালি সেন: প্রেমিকাকে খুন করে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ। গড়ফার ফ্ল্যাটে উদ্ধার হয় ৪৫ বছরের মহিলার রক্তাক্ত দেহ। অন্যদিকে বালিগঞ্জ ও ঢাকুরিয়া স্টেশনের মাঝামাঝি পাওয়া যায় বৃদ্ধের মৃতদেহ।
জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম শান্তি সিং। তাঁর প্রেমিক বাবুলাল ওরফে গোবর্ধন শেঠ। পেশায় বাসচালক বাবুলাল। যদিও বর্তমানে তিনি কোনও কাজ করতেন না। বিবাহিত ছিলেন বাবুলাল। কিন্তু নিজের স্ত্রীর সঙ্গে থাকতেন না। শান্তি সিংয়ের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বলেই খবর। মঙ্গলবার বিকেলে গড়ফা থানা এলাকার ফ্ল্যাটে শান্তি সিংয়ের দেহ উদ্ধার হয়। ১০০ নম্বর ডায়াল করে লালবাজারকে (Lalbazar) খবর দেওয়া হয়েছিল। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ দেখে ফ্ল্যাটের মেঝেতে ৪৫ বছরের মহিলার দেহ পড়ে রয়েছে। তাঁর গলায় ওড়না ফাঁস লাগানো অবস্থায় ছিল। মাথায় ছিল ক্ষতচিহ্ন। এর ঘণ্টা খানেক পরই বালিগঞ্জ ও ঢাকুরিয়া স্টেশনের মাঝে বাবুলালের রক্তান্ত দেহ উদ্ধার হয়।
[আরও পড়ুন: সংস্কৃত টোলগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আনার পথে রাজ্য, বিধানসভায় জানালেন শিক্ষামন্ত্রী]
প্রাথমিক তদন্তের পর তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান, এদিন বাবুলালের সঙ্গে দেখা করতেই গড়ফার ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন শান্তি সিং। সেখানে তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হয়। রাগের বশে প্রেমিকাকে খুন করেন বাবুলাল। সেই অনুতাপে নিজে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন। মনে করা হচ্ছে, ক্যানিং লোকালের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ।
শান্তি সিংয়ের বোন মুন্নি জানান, মঙ্গলবার বিকেলেই তাঁকে ফোন করেছিলেন বাবুলাল। জানিয়েছিলেন, তিনি শান্তিকে খুন করেছেন। আপাতত দু’টি মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কী নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল শান্তি সিং ও বাবুলালের মধ্যে? এর নেপথ্যে সম্পত্তিগত বিবাদ নাকি সম্পর্কের টানাপড়েন রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।