সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৭২ বছরের এক বৃদ্ধা রোগিণীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল এক মরণাপণ্ণ রোগীর ভেন্টিলেটরের সুইচ বন্ধ করে দেওয়ার। একবার নয়, দু’বার। এমন অমানবিক আচরণের পিছনে কারণ একটাই। ভেন্টিলেশন যন্ত্রের শব্দে অসুবিধা হচ্ছিল তাঁর! এই ব্যাখ্যায় হতভম্ব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ। খুনের চেষ্টার অভিযোগে আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত বৃদ্ধাকে।
গত ২৯ নভেম্বর জার্মানির (Germany) দক্ষিণপশ্চিম শহর ম্যানহেমে ঘটেছে এমনই অমানবিক ঘটনা। ঠিক কী হয়েছিল? পুলিশ ও সরকারি আইনজীবীদের রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, হাসপাতালে ভরতি ছিলেন ওই বৃদ্ধা। সেই ঘরেই এক রোগী ভেন্টিলেশনে ছিলেন। কিন্তু সেই যন্ত্রের শব্দে অসুবিধা হচ্ছিল তাঁর। আর তাই তিনি সন্ধে আটটা নাগাদ উঠে গিয়ে সেটি বন্ধ করে দেন।
[আরও পড়ুন: ‘হিন্দুরা দাঙ্গা করে না’, শাহর ‘উচিত শিক্ষা’ মন্তব্যে সমর্থন হিমন্তর]
পরে অবশ্য তা জানতে পেরে যান হাসপাতাল কর্মীরা। তাঁরা দ্রুত যন্ত্রটি চালু করে ওই বৃদ্ধাকে বলেন, কোনও ভাবেই তিনি যেন এমন কাজ আর না করেন। কেননা অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে ওই রোগী মারা যাবেন। কিন্তু এতেও তাঁর হুঁশ ফেরেনি। ন’টা নাগাদ তিনি ফের ভেন্টিলেশন যন্ত্রটির সুইচ বন্ধ করে দেন। এরপরই খবর যায় পুলিশে। ওই মহিলাকে আটক করা হয়। বুধবার তাঁকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হয়। তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। কেমন আছেন ভেন্টিলেশনে থাকা রোগী? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাঁর পরিস্থিতি সংকটজনক নয়। তবে এখনও তাঁকে কড়া নজরে রাখা হচ্ছে। আশা, হয়তো সুস্থ হয়ে উঠবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ভেন্টিলেশনকে বলা হয় ‘লাইফ সেভিং ডিভাইস’। রোগীর শারীরিক অবস্থা জটিল হয়ে গেলে তিনি স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস নিতে পারেন না। সেক্ষেত্রে কৃত্রিম উপায়ে যন্ত্রের সাহায্য়ে শ্বাসপ্রশ্বাস চালু রেখে বাঁচিয়ে রাখা হয় তাঁকে। সাধারণ ভাবে হৃদরোগ, ক্যানসার, স্ট্রোক জাতীয় জটিল অসুখে আক্রান্ত হলে রোগী অচৈতন্য হয়ে যায়। তখন ভেন্টিলেশনে রাখা ছাড়া উপায় থাকে না।