সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাতিয়ার জরুরি অবস্থা। লোকসভার স্পিকার পদে বসেই পুরনো ইস্যু তুলে বিতর্ক উসকে দিলেন স্পিকার ওম বিড়লা। এদিন স্পিকারের আসনে বসেই জরুরি অবস্থার কথা স্মরণ করে ২ মিনিট নীরবতা পালনের নির্দেশ দিন বিড়লা। যার তীব্র প্রতিবাদ আসে বিরোধী বেঞ্চ থেকে। শেষ পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি করে দিতে বাধ্য হন স্পিকার। অষ্টাদশ লোকসভার তৃতীয় দিনই শাসক-বিরোধী সংঘাতে প্রথমবার মুলতুবি হল অধিবেশন।
এদিন ওম বিড়লা স্পিকার নির্বাচিত হন ধ্বনি ভোটে। সেটা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যদিও শেষপর্যন্ত বিরোধী শিবির তাঁকে শুভেচ্ছা জানায়। একই সঙ্গে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) মনে করিয়ে দেন, গণতন্ত্রে বিরোধীদের জাগ্রত স্বর ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এবার যেন সংসদে বিরোধীদের বলতে দেওয়া হয়। ঠিক তারপরই স্পিকারের চেয়ার থেকে কংগ্রেস জমানার জরুরি অবস্থা প্রসঙ্গ তুলে আনেন ওম বিড়লা (Om Birla)।
[আরও পড়ুন: সঙ্গী গ্রেপ্তার হতেই বাংলাদেশে পালানোর ছক! STF-এর তৎপরতায় জালে মায়াপুরের ‘জঙ্গি’ হারেজ]
স্পিকার বলেন, "এই সদন ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থার তীব্র বিরোধিতা করছে। যারা সেসময় এর বিরোধিতা করেছে, তাঁদের সাহসিকতাকে সম্মান জানাই। সেসময় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেইসব দুঃসাহসী, বীর নাগরিক যারা স্বৈরাচারী কংগ্রেস (Congress) সরকারের অত্যাচারে প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের স্মরণে এই সদনে দু মিনিটের নীরবতা পালন করা হোক।" স্পিকার এই ঘোষণা করতেই স্লোগান ওঠা শুরু করে বিরোধী বেঞ্চে। বিরোধীদের বক্তব্য, অহেতুক বিতর্ক খুঁচিয়ে তুলতেই পুরনো ইস্যু তুলে আনছেন স্পিকার। শেষমেশ বিক্ষোভের জেরে অধিবেশন মূলতুবি করে দিতে হয়।
[আরও পড়ুন: জেলে বসেই PhD-এর আবেদন, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারভিউতে মাওবাদী নেতা]
পরে অধিবেশন কক্ষের বাইরে গিয়ে এনডিএর সাংসদরা বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, 'স্বৈরাচারী মানসিকতা, কংগ্রেসের বাস্তবতা।', 'কিছু জিনিস কখনও বদলায় না'। ওই বিক্ষোভে প্রহ্লাদ যোশী, কিরেন রিজিজুর মতো মন্ত্রীরাও ছিলেন। আসলে লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha 2024) পর থেকেই সংবিধান বাঁচানোকে ইস্যু করছে কংগ্রেস। সরকার পালটা জরুরি অবস্থা টেনে এনে হাত শিবিরের সংবিধান অস্ত্রই ভোঁতা করতে চাইলেন।