সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্যোজাতরা ছোটই হয়। তার প্রথম কান্না বা প্রথম হাসির শব্দ মা-বাবাকে উচ্ছ্বসিত করে। কিন্তু কোনরের ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। তার কান্না বাবা-মায়ের কান পর্যন্ত পৌঁছায়নি। এতটাই ছোট অবস্থায় সে জন্মেছিল যে তার বেঁচে থাকা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছিল। কাঁদার শক্তিটুকুও ছিল না তার শরীরে।
[আরও পড়ুন: বোরখা পরা স্বামীর ছবি পোস্ট, পুরুষতান্ত্রিক সমাজের গালে চড় পাকিস্তানি তরুণীর]
হ্যাঁ, কোনরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ছোট সদ্যোজাতদের মধ্যে অন্যতম। জন্মের সময় তার দৈর্ঘ্য ছিল হাতের তালুর সমান। ওজন মাত্র ১১ আউন্স। প্রায় বছরখানেক আগে নিউইয়র্কের ওয়েস্টচেস্টার কাউন্টি এলাকার ব্লাইথেডেল চিল্ড্রেনস হাসপাতালে। জন্মের পরই চিকিৎসকরা আন্দাজ করেন কোনরের জন্য বেঁচে থাকাটা কঠিন হবে। তাই তখন থেকেই তাকে রাখা হয়েছিল কড়া তত্ত্বাবধানে। তার শরীরের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পরিবর্তন লক্ষ্য করেন চিকিৎসকরা। একটু কোনও পরিবর্তন বা অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করলেই তাঁরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেন।
হাসপাতালের শিশুবিভাগের প্রধান ডেনিস ডেভিডসন বলেন, “কোনর সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেঁচে থাকা সবচেয়ে ছোট সন্তানদের মধ্যে একজন।” ওর জন্মও সঠিক সময়ের অনেক আগেই হয়েছিল। মাতৃগর্ভে কোনরের বয়স যখন ২৫ সপ্তাহ তখনই চিকিৎসকরা আন্দাজ করেন সঠিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে না শিশুটি। মায়ের শরীরের পুষ্টি শিশুটির শরীরে পৌঁছাচ্ছে না। ২৬ সপ্তাহেই ভূমিষ্ঠ হয় কোনর। জন্মের পর বাবা-মায়েরও বিশ্বাস হয়নি শিশুটা স্বাভাবিক হয়ে ফিরে আসবে। তবে, তাঁরা আশা ছাড়েননি।
[আরও পড়ুন: আজব দুনিয়া! মানচিত্রে অস্তিত্বই নেই এই বিধানসভা কেন্দ্রের]
গত মঙ্গলবার ৮ মাস পর্যবেক্ষণে থাকার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে কোনর। এখন তাঁর ওজন প্রায় সাড়ে চার কেজি। জন্মের সময়ের থেকে ১৫ গুণ। কোনরের চিকিৎসক জ্যামি ফ্ল্যারিও বলছিলেন,”জন্মের সময় মাত্র নয় ইঞ্চি লম্বা ছিল কনোর। কিন্তু নিজের লড়াইয়ে জিতে গিয়েছে সে।” বাবা জন বলেন, “আমরা অবশেষে ওকে এখানে আনতে পেরে খুব খুশি, কিন্তু এখন আরও কাজ ও দায়িত্ব বাড়ছে। এখন ওর যত্ন নেওয়ার জন্য আমাদের কোনও সহকর্মী নেই, সবটাই আমাদের করতে হবে।”
The post জন্মের সময় ওজন ছিল ৩০০ গ্রাম, আটমাসের কঠিন লড়াইয়ে বাঁচল শিশু appeared first on Sangbad Pratidin.