সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাওড়ায় বিজেপি, সিপিএমে বড়সড় ভাঙন। দল ছেড়ে তৃণমূলে (TMC) যোগ দিলেন কমপক্ষে এক হাজার কর্মী। দক্ষিণ হাওড়া, মধ্য হাওড়া এবং শিবপুর এই তিন বিধানসভা কেন্দ্রের কর্মীরাই মূলত দলত্যাগ করে ঘাসফুল শিবিরের শক্তি বৃদ্ধি করে। রবিবার তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়।
বিজেপি, সিপিএম ছেড়ে কমপক্ষে এক হাজার কর্মী রবিবার বিকেলে দলের হাওড়া জেলা কার্যালয়ে এসে জড়ো হন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি বলেন, “বিজেপি, সিপিএমে থাকাকালীন কর্মীদের দমবন্ধ হয়ে আসছিল। তাই তাঁরা তৃণমূলে যোগদানের ইচ্ছাপ্রকাশ করে আমার কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। তারপর তাঁরা রবিবার বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে আসেন। প্রত্যেকের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়।”
[আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীতে তুলকালাম, পৌষ মেলার মাঠের পাঁচিল ও দরজা ভাঙল স্থানীয়রাই]
প্রসঙ্গত, কিছুদিন ধরেই রাজ্য বিজেপিতে ভাঙন শুরু হয়েছে। বিভিন্ন জেলার বহু কর্মী গেরুয়া শিবির ছেড়ে যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহু কর্মী বিজেপি ছেড়েছেন। এছাড়া ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের ছবিটাও এক। উল্লেখ্য, শুক্রবার দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) প্রায় সামনে দিয়েই দলে দলে বিজেপি কর্মীরা দল ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূলে। যা নিয়ে অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। রবিবার হুগলির তারকেশ্বরেও শতাধিক বিজেপি কর্মী হাতে তুলে নেন তৃণমূলের পতাকা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের শক্তিবৃদ্ধিতে খুশি ঘাসফুল শিবির। সে কারণে তৃণমূলের তরফে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে নতুন কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় দলের পতাকা। এদিনই ঘাসফুল শিবিরে ফিরে আসেন লাল্টু বাগ। লোকসভা নির্বাচনের মুখে দলবল নিয়ে তৃণমূল ছেড়েছিলেন ওই ব্যক্তি। কিছুদিনের মধ্যেই ফের ‘ঘর ওয়াপসি’। কিন্তু কেন? এ বিষয়ে লাল্টু বলেন, বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের কারণেই ফের দলবদলের সিদ্ধান্ত। তাঁর অভিযোগ, বিজেপিতে যোগ দানের পর একাধিকবার তাঁর উপর হামলা করা হয়। অপদস্তও করা হয়। সব মিলিয়েই বিজেপির সঙ্গ দেওয়া তাঁর পক্ষে অসম্ভব হয়ে উঠেছিল।
[আরও পড়ুন: কীসের দূরত্ববিধি? তৃণমূল বিধায়কের জনসভায় শিকেয় নিয়ম, মাস্ক ছাড়াই মঞ্চে শওকত মোল্লা]
The post হাজারখানেক বিজেপি ও সিপিএম কর্মীর দলবদল, হাওড়ায় শক্তিবৃদ্ধি তৃণমূলের appeared first on Sangbad Pratidin.