অর্ণব আইচ: চিংড়িহাটায় দুর্ঘটনায় (Chinrihata Accident) মৃত্যু হল ১ মহিলার। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। দুর্ঘটনায় পাজরের হাড় ভেঙে গিয়েছিল মহিলার, এমনটাই হাসপাতাল সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম খুকু গায়েন। পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির বাসিন্দা তিনি। ছেলে সন্দীপ গায়েনকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতা এসেছিলেন তিনি। চিংড়িহাটায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন দুজনই। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। জানা গিয়েছে, মহিলার পাজরের হাড় ভেঙে গিয়েছিল। ফলে চিকিৎসা শুরু করেও শেষ রক্ষা হল না। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন খুকুদেবী। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর ছেলের।
[আরও পড়ুন: রাজ্য রাজনীতিতে ডিসেম্বর ‘উত্তাপ’, তিনটি গুরুত্বপূর্ণ তারিখ দিলেন শুভেন্দু, পালটা দিল তৃণমূল]
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বেলা ১ টা নাগাদ নিক্কোপার্কের দিক থেকে কলকাতার দিকে যাচ্ছিল একটি লাল রঙের গাড়ি। প্রথমে পরপর দুই ট্রাফিক সার্জেন্টকে ধাক্কা মারে গাড়িটি। জখম হন তাঁরা। এরপর গ্রুত গতিতে যাওয়ার পথে চিংড়িহাটায় গাড়িটিকে আটকানোর চেষ্টা করে ট্রাফিক পুলিশ। কিন্তু বাধা না মেনে প্রথমে একটা টাটা সুমো গাড়ি ও পরে একটি স্কুটিতে ধাক্কা দেয় ওই গাড়িটি। এছাড়া পথচারীদেরও ধাক্কা মারে। বেপরোয়া গাড়ির তাণ্ডবে জখম হন মোট ৭ জন। প্রত্যেককে ভরতি করা হয় হাসপাতালে। মুখ্যমন্ত্রী এসএসকেএমে চিকিৎসাধীনদের সঙ্গে দেখা করেন। পরে টুইটে জানান, “রাজ্য সরকার চালকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করছে। আহতদের সরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। বিনামূল্যে প্রত্যেকের চিকিৎসা হবে।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গুরুতর জখম ২ জনকে ১ লক্ষ টাকা করে ও আহত বাকি ৫ জনকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে রাজ্যের তরফে।়