shono
Advertisement

Breaking News

তাপমাত্রা বৃদ্ধি আর আর্দ্রতাই করোনার মারণাস্ত্র, আশাবাদী পরিবেশ বিজ্ঞানীরা

সংক্রমণের কারণ হিসেবে বিশ্ব উষ্ণায়নকেও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। The post তাপমাত্রা বৃদ্ধি আর আর্দ্রতাই করোনার মারণাস্ত্র, আশাবাদী পরিবেশ বিজ্ঞানীরা appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 01:57 PM Mar 26, 2020Updated: 02:25 PM Mar 26, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একরাশ দুশ্চিন্তার মধ্যেও করোনা সংক্রমণ নিয়ে আশার আলো দেখছে বিজ্ঞানীদের একাংশ। তাপমাত্রা বাড়লে ভাইরাসের সক্রিয়তা ধীরে ধীরে কমবে, এই আশা থেকে এখনও বেরিয়ে আসেননি তাঁরা। বাস্তব চিত্র দেখেই তাঁদের এমন আশা। দেখা গিয়েছে, বুধবার এ রাজ্যের তাপমাত্রা একটু বেশি ছিল, ৩৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের কাছাকাছি।  আর এই দিন নতুন করে কারও শরীরে COVID-19 সংক্রমণ ধরা পড়েনি। ব্যতিক্রম একেবারে রাতের দিকে এক ব্যক্তির রিপোর্ট পজিটিভ হওয়া।  দিল্লি এবং রাজস্থানেও একই ঘটনা। এই তিন জায়গার করোনা চিত্রই নতুন করে আশা জাগাচ্ছে।

Advertisement

ইউহানের ৫-৬ ডিগ্রি থেকে ইটালির ৩-৪ ডিগ্রি বা আমেরিকার ১০-১৫ ডিগ্রিতে যতটা থাবা বসাতে পেরেছে নোভেল করোনা ভাইরাস, দেখা যাচ্ছে, ভারতের ২০-২৫ ডিগ্রিতে ততটা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারেনি জীবাণুটি। তৃতীয় সপ্তাহে ইটালি বা চিনে যে সংখ্যক মানুষ করোনা পজিটিভ হয়েছিলেন, ভারতে সেই সংখ্যা তুলনায় অনেকটাই কম। পরিবেশবিদ অর্ক চৌধুরীর মতে, “আমি ভাইরোলজিস্ট, ব্যাকটেরিওলজিস্টদের সঙ্গে কথা বলে আমি বুঝতে পারছি যে তাপমাত্রা আরেকটু বাড়তে থাকলে COVID-19 এর সক্রিয়তা কমবে। ৪০-৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এ হয়তো পুরোপুরি মরে যাবে। তবে এটা ঠিক যে নতুন এই জীবাণুর অভিযোজন ক্ষমতা বেশি। যে কোনও পরিবেশে এখনও  নিজেকে অভিযোজিত করছে। অন্তত এখনও পর্যন্ত সেরকমই দেখা যাচ্ছে। ”

[আরও পড়ুন: ম্যালেরিয়ার ওষুধেই সারবে করোনা, ট্রাম্পের দাবিতেই সিলমোহর মার্কিন ওষুধ সংস্থার]

এই আশাপ্রকাশের নেপথ্যে যুক্তি হিসেবে তিনি বলছেন, “দিল্লিতে এখনো রাতের দিকে তাপমাত্রা বেশ কম, ঠান্ডা ভাব আছে। তাই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে এখনও। তামিলনাড়ুর কিছু অংশেও তাই। তুলনায় রাজস্থান এবং পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রা এখন উর্ধমুখী। একটা দীর্ঘ সময়ে নতুন করে করোনা সংক্রমণের খবর মেলেনি। ফলে আমরা আশা দেখছি যে তাপমাত্রার কাছেই কাবু হতে পারে এই ভাইরাস।”

তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই লকডাউনের সিদ্ধান্ত আরও আগে নেওয়া উচিত ছিল, চিনের পরিস্থিতি দেখে। তাহলে বাইরে থেকে সংক্রমণও আটকানো যেত। যে পদক্ষেপ নিয়ে নিজেদের সম্পূর্ণ করোনা মুক্ত রাখতে পেরেছে এশিয়ারই দুই দেশ – ভিয়েতনাম এবং লাওস। চিনের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি দেখামাত্রই এই দুই দেশ নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করে চাইনিজ পণ্য আমদানি-রপ্তানি আটকে দিয়েছিল। ভারতেরও সেই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

[আরও পডুন: করোনার নাম ‘করোনা’ কেন? জানেন, এই ভাইরাস কয় প্রকার ও কী কী?]

আচমকা এই ভাইরাস সংক্রমণের পিছনে কি বিশ্ব উষ্ণায়নের কোনো প্রভাব আছে কি? সেই তত্ব ও উড়িয়ে দিচ্ছেন না পরিবেশবিদরা। বিজ্ঞানী অর্ক চৌধুরী বলছেন, “২০ বছর আগে থেকে মেরু অঞ্চলের বরফ গলা শুরু হয়েছে। আর তারপরে ওখানে প্রচুর প্রাণীর ফসিল দেখতে পাওয়া গিয়েছে, যাদের দেহে তখনো পচন ধরেনি। এদের বলা হয় – ফ্রোজেন ফসিল। ওইসব প্রাণীদেহ থেকে এতদিন পর হয়ত ভাইরাসগুলি সক্রিয় হয়ে উঠেছে, যা থেকে এই  সংক্রমণ।”

ফ্রোজেন ফসিল

কারণ যাই হোক, এই মুহূর্তে নোভেল করোনা ভাইরাস রুখে দেওয়ার যুদ্ধ চালিয়ে যেতেই হবে। আর সেই লক্ষ্যেই একজোট হয়ে লড়ছেন ভারতবাসী তথা বিশ্ববাসী।

The post তাপমাত্রা বৃদ্ধি আর আর্দ্রতাই করোনার মারণাস্ত্র, আশাবাদী পরিবেশ বিজ্ঞানীরা appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement