ধীমান রায়, কাটোয়া: ‘পূর্ব বর্ধমান জেলায়’ রয়েছেন ভোটাররা। নদী পেরিয়ে ভোট করাতে আসবেন নদিয়া জেলার ভোটকর্মীরা। কথাটা ভাবতে কেমন অদ্ভুতুড়ে ঠেকছে না? বিষয়টি অনেকটা তাইই। একটু না হয় খোলসা করেই বলা যাক। চোখের দেখায় পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া এলাকা মনে হলেও আসলে নয়াচর কিন্তু আজও নদিয়া জেলার প্রশাসনিক মানচিত্রেই রয়ে গিয়েছে। ভাগীরথী নদী যেখানে দুই জেলাকে বিভক্ত করে রেখেছে সেখানে ভাগীরথীর এপাড়ে নয়াচর গ্রামটি এখনও রয়ে গিয়েছে নদিয়া জেলার মধ্যেই। নদিয়া জেলার কালীগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির গোবরা পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে পড়ে কাটোয়ার দাঁইহাট পুর এলাকা লাগোয়া নয়াচর গ্রাম। আর এই গ্রামের ২২৭ নম্বর বুথে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে নদিয়া জেলা প্রশাসন।
[ আরও পড়ুন: আনন্দ দিতে সিনেমা করেছি, জনগণের জন্য এবার ভোটে: মুনমুন সেন]
কাটোয়া শহর আর দাঁইহাট শহরের মধ্যবর্তী জায়গায় একটি গ্রাম নয়াচর। ভাগীরথীর এপারের একটি গ্রাম। আপাতভাবে দেখলে মনে হবে পূর্ব বর্ধমান জেলার মধ্যেই রয়েছে এই গ্রাম। কারণ ভাগীরথীর এধারে পূর্ব বর্ধমান। ওপারে নদিয়া জেলা। নয়াচর গ্রামটি অদ্ভূতভাবে এখনও রয়ে গিয়েছে নদিয়া জেলার প্রশাসনিক মানচিত্রে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই এই গ্রামটি রয়েছে নদিয়া জেলার ভিতরেই। কালীগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির গোবরা পঞ্চায়েতের নয়াচরের ২২৭ নম্বর বুথে রয়েছেন প্রায় ১৩০০ জন ভোটার। নদিয়ার গোবরা পঞ্চায়েত বিজেপি জোট পরিচালিত। নয়াচর থেকে নির্বাচিত সদস্যা বিজেপির পিংকি সরকার। যদিও তিনি বলেন, “আমাদের গ্রাম প্রশাসনিকভাবে নদিয়া জেলার অন্তর্ভুক্ত বলে সরকারি কাজকর্ম নদী পেরিয়ে করতে হয়। তাতে খুব সমস্যা হয়। সেজন্য নয়াচরকে পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্তর্ভুক্ত করার দাবি বহুদিন ধরেই জানিয়ে আসছি।”
[ আরও পড়ুন: কেশপুরে ভোটপ্রচারে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের খুনের হুমকি দিলীপ ঘোষের]
নয়াচর গ্রাম কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্য পড়ে। গ্রামে প্রায় সবদলের প্রার্থীরাই দেওয়াল লিখন করেছেন কমবেশি। তবে এদিন রবিবার পর্যন্ত কোনও প্রার্থীই সশরীরে নয়াচরে প্রচারে আসেননি বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। তবে নয়াচরে ভোটের প্রচারে পিছিয়ে নেই বিজেপি, তৃণমূল কোনও দলই।
The post মানচিত্রের গেরো, ভাগীরথী পেরিয়ে নয়াচরে নদিয়ার ভোটকর্মীরা appeared first on Sangbad Pratidin.
