shono
Advertisement

অধিবেশনে ‘ভাই’বলে অভিমান, পরে বিধানসভায় নিজের ঘরে শুভেন্দুকে ডাকলেন মমতা

সরকার গঠনের পরে এই প্রথম মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতা।
Posted: 01:30 PM Nov 25, 2022Updated: 04:28 PM Nov 25, 2022

কৃ্ষ্ণকুমার দাস: সাম্প্রতিককালে বঙ্গ রাজনীতির বিরলতম দৃশ্য। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) ঘরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী!  শুক্রবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ডাক পেয়ে তাঁর ঘরে যান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সঙ্গে ছিলেন পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গা, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, অশোক লাহিড়িও। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে  সামান্য আলোচনার পরই বেরিয়ে আসেন তাঁরা। ২০২১ সালে তৃতীয় তৃণমূল সরকার গঠনের পর এই প্রথম রাজ্যের আইনসভার অন্দরে মুখোমুখি হলেন মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতা। যা সাম্প্রতিক কালে নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। 

Advertisement

শুক্রবার ‘সংবিধান দিবস’ পালিত হচ্ছে বিধানসভায় (Assmbly)। পাশাপাশি নতুন ভবনের উদ্বোধনও। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে নাম নেই বিরোধী দলনেতার, এই অভিযোগ তুলে তিনি অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠান। ‘সংবিধান দিবসে’র অনুষ্ঠানে একসঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা বলেন। এক মিনিট সেখানে ছিলেন শুভেন্দু, মনোজ টিগ্গা, অগ্নিমিত্রারা। পরে বেরিয়ে এসে বিরোধী দলনেতা বলেন, ”ওনার ঘরে ডেকেছিলেন। সৌজন্য বিনিময় হল। যদিও চা খাওয়া হয়নি।” অগ্নিমিত্রাও জানান, ”সিএম বসেছিলেন, সৌজন্য বিনিময় করলাম।”  মুখ্যমন্ত্রীর জানিয়েছেন, ”চা খেতে ডেকেছিলাম।”

[আরও পড়ুন: ‘বিশ্বকাপের জন্য জাকির নায়েককে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি’, ভারতের কড়া বার্তার পর জবাব কাতারের]

তার আগে বিধানসভা কক্ষে এদিন বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে শুভেন্দুর নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”যাঁকে আমি ভাইয়ের মতো স্নেহ করতাম একসময়ে, তিনি বলছেন, আমাদের সরকার নাকি বাই দ্য পার্টি, অফ দ্য পার্টি, ফর দ্য পার্টি। আর  তাহলে দিল্লির সরকারটা কী? বাই দ্য এজেন্সি, অফ দ্য এজেন্সি, ফর দ্য এজেন্সি? আমাদের সরকার মানুষের সরকার। তৃণমূল যখন তৈরি হয়, তখন ছিলেন না আপনি। শিশিরদা কংগ্রেসে ছিলেন, তৃণমূলে ছিলেন অখিল গিরি। আমি শিশিরদাকে সম্মান করি। বিরোধীদের সম্মান করি। হাউজ চলছে, সবাইকে বলার সুযোগ দিন।”

[আরও পড়ুন: জামিনের আবেদনই করলেন না আইনজীবী, ফের জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল]

এদিন কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে বিধানসভার অন্দরে ফের সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ”স্পিকারকে বলব, সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল তৈরি করুন। সব দলের প্রতিনিধিরা থাকবে। তাঁরা দিল্লি গিয়ে মন্ত্রীদের কাছে বাংলার হয়ে দাবি করবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছেও দাবি করুক, সবাই মিলে উন্নয়নের কাজ করুন।” 

তবে শুক্রবার বিধানসভার সবচেয়ে চমকপ্রদ ঘটনা মমতা-শুভেন্দুর সাক্ষাৎ। তৃতীয়বার তৃণমূল সরকার গঠন, শুভেন্দুর বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর এই প্রথম একে অপরের সঙ্গে দেখা করে সৌজন্য বিনিময় করলেন। এর আগে রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানও এড়িয়ে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। তবে এবার মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে হাসিমুখে তাঁর ঘরে গিয়ে দেখা করলেন। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement