স্টাফ রিপোর্টার: সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাই কোর্টের সম্মতি নিয়ে চোখের চিকিৎসা করাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বিদেশ গিয়েছেন। কিন্তু সেই বিদেশ যাত্রা নিয়ে যে কুৎসিত ব্যক্তিগত আক্রমণ শুরু করেছে বিরোধীরা, তার কড়া জবাব দিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। দলের তরফে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এনিয়ে কড়া ভাষায় পালটা আক্রমণ করেছেন বিরোধীদের। অভিষেকের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যও দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিরোধীদের জবাব দিতে গিয়ে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশযাত্রা নিয়ে যে কুৎসিত ও ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন বিরোধীরা, তাতে সন্দেহ হচ্ছে তাঁদের বাড়ির কেউ কখনও অসুস্থ হননি। অভিষেক তো আইনসম্মতভাবে বিদেশ গেছেন। অথচ কুরুচিকর প্রচার চলছে। যা পদ্ধতি রয়েছে, তাতে সবদিক থেকেই দেখা যাচ্ছে, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বিদেশযাত্রা নিয়ে কোনও পর্যবেক্ষণ বা রায় মহামান্য আদালত দেননি। অভিষেক কিন্তু চোখের পাওয়ার দেখাতে যাননি। ভয়ংকর দুর্ঘটনায় তাঁর চোখের মণির যে ধারণ ক্ষমতা চুরমার হয়ে গিয়েছিল তা নিয়ে একের পর এক অস্ত্রোপচার হয়েছে। কলকাতা থেকে সেই চিকিৎসা শুরু হয়। এখনও সম্পূর্ণ সুস্থ হননি বলেই তো বিদেশে গিয়েছেন। সেখানে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এর আগে একদফা অস্ত্রোপচার হয়েছে, চিকিৎসা শেষে নির্দিষ্ট সময় পরে দেশে ফিরে এসেছেন অভিষেক। এবারও চিকিৎসা শেষে স্বাভাবিকভাবে দেশে ফিরবেন।’’
[আরও পড়ুন: ব্রিকসে সদস্য বাড়ানোর দাবিতে দাদাগিরি চিনের! তীব্র বিরোধিতা ভারত ও ব্রাজিলের]
উল্লেখ্য, দুর্ঘটনায় (Accident) অভিষেকের বাঁ দিকের চোখের অপটিক্যাল লোব ভেঙে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে গিয়েছিল। দুবাই ও আমেরিকার দু’জন বিশ্বখ্যাত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তাঁর চোখের চিকিৎসা করছেন। চিকিৎসা করাতে তাঁকে তাই বিদেশে যেতেই হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বিদেশযাত্রা নিয়ে তাঁর আইনজীবী সঞ্জয় বসু এদিন স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘‘চিকিৎসার প্রয়োজনেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বিদেশযাত্রা। তাঁর বিদেশযাত্রার অধিকারে কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে না। এটি তাঁর মৌলিক অধিকার। প্রয়োজন না হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েই তিনি রওনা হয়েছেন। এর আগেও চিকিৎসা-সহ বিভিন্ন প্রয়োজনে অনেকবারই বিদেশ গিয়েছেন তিনি। সর্বোপরি সুপ্রিম কোর্ট এবং কলকাতা হাই কোর্ট বিভিন্ন সময়ে তাঁর বিদেশযাত্রার অধিকার স্বীকার করে নিয়েছে।’’ এরপরেও যদি কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যে কোনও অসত্য খবর বা গুজব ছড়ানো হয়, তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী।