শিলাজিৎ সরকার: তিন বছর আগে গুজরাতে জাতীয় গেমস থেকে শূন্য হাতে ফিরেছিলেন দেবেশ শ। তবে এবার উত্তরখণ্ড থেকে খালি হাতে ফিরতে রাজি ছিলেন না বাংলার এই উশু প্লেয়ার। নিজের সেই লক্ষ্য পূরণ করেছেন বছর তেইশের দেবেশ, ব্রোঞ্জ পেয়ে। আর তাঁর হাত ধরেই এবারের জাতীয় গেমসে প্রথম পদকটা পেয়েছে বাংলা।

তবে এবার কেন পদক জিততে মরিয়া ছিলেন দেবেশ? নিজেই দিলেন তার জবাব। উত্তরাখণ্ড থেকে ফোনে বলছিলেন, "এখানে আসার আগে সংবাদমাধ্যম থেকে জেনেছি যে জাতীয় গেমসে পদক জিতলেই রাজ্য সরকার চাকরি দেবে। পরে আমাদের গ্রুপেও এই নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে স্যর বলেন, পদক জিততে পারলে আমরা চাকরি পাব। সেই ঘোষণাটাই আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা দিয়েছে। কথাটা জানার পর প্র্যাকটিসে আরও মনোযোগী হয়ে যাই।” জাতীয় স্তরের এই উশু প্র্যাকটিশনার জাতীয় গেমসে না হলেও জাতীয় স্তরে এর আগে বহু পদক জিতেছেন। তবে এবার জাতীয় গেমসে নানকুয়ান ইভেন্টে পাওয়া ব্রোঞ্জটাই তাঁর কাছে শ্রেষ্ঠতম সাফল্য। কেন? দেবেশের বক্তব্য, “একটা সরকারি চাকরি আমাকে উশু চালিয়ে যেতে সাহায্য করবে। আর এই পদকটা আমাকে সেই চাকরির কাছে পৌঁছে দিতে পারে। তাই এই পদকটাই আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয়।"
কাশীপুর সর্বমঙ্গলা মন্দির এলাকার বাসিন্দা দেবেশের বাবা গৌতম শ পেশায় বস্ত্র ব্যবসায়ী। তাঁর সূত্রেই উশুর জগতে আসেন তিনি। তাঁর কথায়, "বাবার এক বন্ধুর ছেলে উশুর সঙ্গে যুক্ত ছিল। সেই সূত্রেই বাবা আমাকে উশুতে ভর্তি করে। সেটা ২০১২ সালের কথা। তখন আমার বয়স ১০ বছর। তারপর থেকে ধাপে ধাপে এগিয়ে এখানে পৌঁছেছি। গত ডিসেম্বরেই জানতে পেরেছিলাম যে আমাকে এবার জাতীয় গেমসে পাঠানো হবে। সেই মতো নিজের প্রস্তুতি শুরু করি। তারপর তো সরকারি চাকরি সংক্রান্ত ঘোষণা আমার পদক জয়ের ইচ্ছা আরও বাড়িয়ে দেয়।” দেবেশের পর জাতীয় গেমসে উশুতে আরও একটি ব্রোঞ্জ পেয়েছে বাংলা। বৃহস্পতিবার চাংকুয়ান ইভেন্টে তৃতীয় হয়েছেন লক্ষ্মী রায়। অন্যদিকে, হাই বোর্ড ডাইভিংয়ে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন বাংলার ঈপ্সিতা মহাজন। বাংলার পুরুষ রাগবি সেভেন্স ও খো-খো দল পৌঁছে গিয়েছে সেমিফাইনালে।