সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০৩০ সালের কমনওয়েলথ গেমসের জন্য সরকারিভাবে বিড জমা দিয়েছিল ভারত। বুধবার, কমনওয়েলথ গেমসের নির্বাহী বোর্ড ঐতিহ্যবাহী গেমের আয়োজক শহর হিসেবে আহমেদাবাদকে সুপারিশ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে ভারতে কমনওয়েলথ গেমসের আসর বসবে কি না, চূড়ান্ত নেওয়া হবে নভেম্বরের শেষে।
জানা গিয়েছে, ২৬ নভেম্বর গ্লাসগোতে কমনওয়েলথ গেমসের সাধারণ অধিবেশনে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কমনওয়েলথ স্পোর্টস জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে হবে এই অধিবেশন। কমনওয়েলথ গেমস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া এবং গুজরাট সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী একটি প্রতিনিধি দল এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য সরকারিভাবে দরপত্র জমা দিয়েছিল আগেই। লন্ডনে কমনওয়েলথ স্পোর্টের কাছে তারা এই বিড করেছিল। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংভি। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, কমনওয়েলথ গেমসের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আহমেদাবাদকে আয়োজক শহর হিসাবে স্থান দেওয়া হয়েছে। ২৭ আগস্ট মেগা এই প্রতিযোগিতা বিড করার অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের জন্য বিড করে ভারত।
কমনওয়েলথ স্পোর্টের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. ডোনাল্ড রুকরে ভারত ও নাইজেরিয়া দুই দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, দুই দেশের প্রস্তাব আকর্ষণীয় ছিল। তাছাড়াও কমনওয়েলথ গেমস অ্যাসোসিয়েশন ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট পি টি ঊষা বলেন, "আহমেদাবাদে শতবর্ষের গেমস আয়োজন করা ভারতের কাছে দারুণ সম্মানের হবে। যা কেবল দেশের ক্রীড়া গুরুত্বকেই নয়, ২০৪৭ সালের বিকশিত ভারতের দিকেও নিয়ে যাবে। ভারতে এই গেমস আয়োজিত হলে যুবসমাজও অনুপ্রাণিত হবে।"
এর আগে ২০১০ সালে কমনওয়েলথ গেমস আয়োজন করেছিল ভারত। গ্লাসগোয় সিদ্ধান্তর পরেই জানা যাবে, ভারতে দ্বিতীয়বার কমনওয়েলথ আয়োজিত হবে কি না। আয়োজক হিসাবে আহমেদাবাদ বিশ্বমানের ক্রীড়া পরিকাঠামো বহন করতে প্রস্তুত। তাছাড়াও এখানকার ক্রীড়া সংস্কৃতিও উন্নত মানের। আন্তর্জাতিক স্তরের ইভেন্ট পরিচালনার অভিজ্ঞতার জন্যও পরিচিত এই শহর। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল আয়োজিত হয়েছিল এই শহরেই। সেই কারণেই আয়োজক শহর হিসাবে আহমেদাবাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
২০৩০ সালের কমনওয়েলথ গেমসে ৭২টি দেশ অংশ নিতে পারে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে বিরাট সংখ্যক অ্যাথলিট, কোচ, কর্মকর্তা, সমর্থক, মিডিয়া কর্মীরা ভারতে আসবেন। এতে দেশের পর্যটন, হসপিটালিটি, বাজার, পরিবহণ খাতে অর্থনৈতিক গতি বৃদ্ধি পাবে। কমনওয়েলথ গেমস কেবল ক্রীড়া উৎসবই নয়, এতে ক্রীড়া বিজ্ঞান, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট থেকে ব্রডকাস্টিং, আইটি এবং জনসংযোগ-সহ বহু খাতে কর্মসংস্থানের নতুন দরজা খুলবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১০ সালে শেষবার কমনওয়েলথ গেমসের আসর বসেছিল ভারতে। সেবছর দিল্লিতে আয়োজিত হয়েছিল ইভেন্টটি। এবার গেমস আয়োজনের দায়িত্ব ভারত পেলে তা হবে আহমেদাবাদে।
