সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৮২ এশিয়ান গেমসের জন্য তৈরি হয়েছিল। তারপর ফুটবল, ক্রিকেট-সহ নানা আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করেছে এই স্টেডিয়াম। ২০১০ কমনওয়েলথ গেমসেরও অন্যতম প্রধান ভেন্যু ছিল। কিন্তু এবার শেষ হতে চলেছে দিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের যাত্রা। সূত্রের খবর, এই স্টেডিয়াম লাগোয়া এলাকায় স্পোর্টস সিটি গড়বে কেন্দ্র। তাই ভেঙে ফেলা হবে এই ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়াম।
কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক সূত্রে খবর, জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম ভেঙে ফেলা হবে খুব দ্রুত। ওই এলাকায় ১০২ একর জমিজুড়ে তৈরি হবে নতুন স্পোর্টস সিটি। মূলত ২০৩৬ অলিম্পিক আয়োজনের কথা মাথায় রেখেই এই স্পোর্টস সিটি তৈরির কথা ভাবছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই কাতার এবং অস্ট্রেলিয়ার নানা ক্রীড়া পরিকাঠামো পর্যালোচনা করছেন আধিকারিকরা। আধুনিক ধাঁচে, একই ছাদের তলায় বহুবিধ ক্রীড়া পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই দুই দেশ থেকেই শিক্ষা নিতে চাইছে কেন্দ্র। তবে এখনই চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি ক্রীড়া মন্ত্রক।
৬০ হাজার দর্শকাসন রয়েছে দিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে। ১৯৮২ এশিয়ান গেমস থেকে ২০১০ কমনওয়েলথ গেমসের সাক্ষী থেকেছে এই স্টেডিয়াম। কেবল খেলাই নয়, বড় মাপের কনসার্ট, স্বাধীনতা দিবসের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানও হয়েছে এখানে। জাতীয় অ্যাথলেটিক্স দলের ঘরের মাঠও ছিল এই স্টেডিয়ামে। চলতি বছরেই বিশ্ব প্যারা অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপের আসর বসেছিল দিল্লির এই স্টেডিয়ামে। কমনওয়েলথ গেমসের আগে স্টেডিয়াম ঢেলে সাজানো হয়েছিল। কিন্তু ১৫ বছরের মধ্যেই ধুলোয় মিশবে এই পরিকাঠামো।
উল্লেখ্য, ২০৩৬ অলিম্পিক আয়োজনে মরিয়া ভারত। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা। আহমেদাবাদকে অলিম্পিক আয়োজনের সম্ভাব্য স্থান হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। তবে একই সঙ্গে দিল্লিকেও সাজিয়ে তোলা হবে। অলিম্পিক আয়োজনের জন্য ৩৪ হাজার ৭০০ কোটি থেকে ৬৪ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
