সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র ১০০ গ্রাম বাড়তি ওজনের জন্য অলিম্পিক থেকে ছিটকে যেতে হয়েছে ভিনেশ ফোগাটকে। সারারাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেও ওজন কমাতে পারেননি কুস্তিগির। তার জেরে গুরুতর অসুস্থও হয়ে পড়েন। তার পরে গোটা ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন অলিম্পিকে ভারতের মুখ্য মেডিক্যাল অফিসার ডঃ দিনশ পারদিওয়ালা।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পারদিওয়ালা বলেন, কুস্তিগিররা মাঝে মাঝেই নিজের থেকে কম ওজনের ক্যাটেগরিতে খেলতে নামেন। কারণ এই স্ট্র্যাটেজিতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বেশ খানিকটা সুবিধা মেলে। কিন্তু প্রতিযোগিতায় নামার আগে কীভাবে কম সময়ে অনেকখানি ওজন কমাতে পারেন কুস্তিগিররা? চিকিৎসকের মতে, "ঘাম ঝরানো থেকে শুরু করে বিশেষ ধরনের এক্সারসাইজ করতে হয় কুস্তিগিরদের।"
[আরও পড়ুন: ‘পরের বার সোনা হবেই’, ভেঙে পড়া নয়, ফের অলিম্পিকের প্রস্তুতিতে চোখ ভিনেশের বাবার]
তবে এইভাবে ওজন কমানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলেই তিনি জানা। ওজন কমলে শক্তিক্ষয় হয়ে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই প্রতিযোগিতা চলাকালীন কুস্তিগিররা যেন ফিট থাকেন সেই জন্য বিশেষ ধরনের খাবার দেওয়া হয়। খুব কম জল খাওয়ার পাশাপাশি এমন কিছু খাবার দেওয়া হয় যাতে কম সময়ে বেশি শক্তি মেলে। কুস্তি প্রতিযোগিতার শুরুতে ওজন মেপে নেওয়ার পর এই ডায়েট মেনে চলেন কুস্তিগিররা।
মঙ্গলবার একই দিনে পরপর তিনটি বাউটে লড়তে হয়েছিল ভিনেশকে। সেই জন্য আলাদা করে ভিনেশের খাবারের পরিকল্পনা করেছিলেন পুষ্টিবিদরা। সারা দিনে দেড় কেজি খাবার যেন কুস্তিগিরকে দেওয়া যায়, সেরকমই পরিকল্পনা ছিল। তবে এই পন্থায় চললে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় প্রথম থেকেই ছিল। একদিনে টানা তিনটি বাউট লড়ার পরে ভিনেশের ওজন বেড়ে যায়। কিছুটা জলও খেতে হয় তাঁকে।
তার পর থেকেই শুরু ভিনেশের ওজন কমানোর প্রক্রিয়া। রাতভর শরীরচর্চা করেন তারকা কুস্তিগির। জলও খাননি তিনি। ওজন কমানোর জন্য তাঁর চুল কেটে দেওয়া হয়, ছোট করে দেওয়া হয় পোশাক। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। মাত্র ১০০ গ্রামের জন্য ভেঙে গেল ভিনেশের অলিম্পিক স্বপ্ন।