সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্যারিসে লক্ষ্যপূরণ হল না লক্ষ্য সেনের। একসময়ে এগিয়ে থেকেও ব্রোঞ্জ হাতছাড়া হল লক্ষ্যর। প্রথম গেম জিতে নিয়েছিলেন লক্ষ্য। কিন্তু দ্বিতীয় ও তৃতীয় গেম জিতে মালয়েশিয়ার লি জি জিয়া হারান ভারতের লক্ষ্য সেনকে। খেলার শেষে পরাজিত লক্ষ্য সেন কথা বলতে পারছিলেন হতাশায়। কোনওক্রমে তিনি বলেন, ''দ্বিতীয় সেটে আমার সুযোগ ছিল। আরও একটু ভালো খেলতেই পারতাম। তবে কৃতিত্ব জিয়ার। খুবই ভালো খেলেছে। এই মুহূর্তে আমি সবকিছু ঠিকঠাক চিন্তা করতে পারছি না।''
খেলা চলাকালীন একাধিকবার তাঁর চিকিৎসা হয়। প্রথম তিরিশ মিনিট তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু মালয়েশিয়ার ব্যাডমিন্টন তারকা ছন্দ ফিরে পেতেই লক্ষ্য সেন ম্যাচ থেকে ছিটকে যান। তাঁর কাছ থেকে প্ল্যান বি বলে কিছু পাওয়া যায়নি। তাঁর হাতে ক্ষত ছিল। ব্যান্ডেজ বাঁধা ছিল। সেই ব্যান্ডেজ একাধিক বার পরিবর্তন করতে দেখা যায় লক্ষ্য সেনকে। ক্ষত থেকে কোর্টে রক্ত ঝরে। কোর্ট পরিষ্কার করার জন্য একাধিক বার খেলা বন্ধ হয়। সব মিলিয়ে ছন্দ হারাতে থাকেন লক্ষ্য সেন। তার প্রভাব পড়েছে ম্যাচে।
[আরও পড়ুন: চোখের সামনে ভাঙছে বঙ্গবন্ধুর মূর্তি, হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ইস্টবেঙ্গল প্রাক্তনী আসলামের]
তিনি বলেছেন, ''খেলা চলাকালীনই হাত থেকে রক্ত ঝরছিল। মেঝের উপরে পড়া রক্ত মোছা হয়। খেলা বন্ধ হওয়ার ফলে আমার ছন্দ নষ্ট হচ্ছিল।''
সেমিফাইনালে দ্বিতীয় বাছাই ভিক্টর অ্যাক্সেলসেনের কাছে স্ট্রেট সেটে হার মানেন লক্ষ্য সেন। সোমবার ব্রোঞ্জ পদক জয়ের দিকে মন দিয়েছিলেন তিনি। লক্ষ্য বলছেন, ''এই ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিয়েই খেলতে নেমেছিলাম। খুব কঠিন একটা সপ্তাহ গেল। ক্লান্তি ক্রমশ বাড়ছিল। আমি অবশ্য একশো শতাংশ দিতে তৈরিই ছিলাম।''
লক্ষ্য সেন ব্রোঞ্জ পদক না পাওয়ার অর্থ হল গত ১২ বছরে এই প্রথম বার ব্যাডমিন্টন ইভেন্ট থেকে পদক এল না দেশে। ২০১২ সালে সাইনা নেহওয়াল পদক জিতেছিলেন। ২০১৬ ও ২০২১ সালে ভারতের হয়ে পদক পেয়েছিলেন পিভি সিন্ধু। এবারও পদকজয়ের খুব কাছে পৌঁছেও পদকহীন থাকতে হল লক্ষ্য সেনকে।
