সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য মেয়ে কে কবিতাকে সাসপেন্ড করেছিলেন ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস) প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর)। এরপর কবিতা নিজেই বিআরএসের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেন। তারপর পেরিয়ে গিয়েছে তিন মাসেরও বেশি সময়। কবিতার কি ফের বিআরএসে ফেরার কোনও সম্ভাবনা রয়েছে? বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি তিনি নিজেই মুখ খুলেছেন। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বিআরএসে আর কোনও দিন ফিরবেন না। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ২০২৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁর সংস্থা তেলেঙ্গানা জাগৃতির নামেই তিনি রাজনৈতিক দল খুলবেন।
কবিতা বলেন, “তেলেঙ্গানা জাগৃতি নামটিই শেষ পর্যন্ত থাকবে কি না, তা বলতে পারছি না। কিন্তু ২০২৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। আমাদের নতুন দল মানুষের জন্য কাজ করবে। তেলেঙ্গানার সংস্কৃতি রক্ষার দিকে নজর দেবে।” তিনি আরও বলেন, “মাটির সঙ্গে, সাধারণ মানুষজনের সঙ্গে আমার দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে।” কবিতার দাবি, বিআরএসের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে ২০১৯ সালের নির্বাচনে তাঁকে পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছিল।”
প্রসঙ্গত, ভাই কেটি রামা রাওয়ের (কেটিআর) সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরেই কবিতাকে দল থেকে বিতাড়িত করা হয়। বছর দুই আগে তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসের কাছে পরাস্ত হয় বিআরএস। তারপর থেকেই কার্যত অন্তরালে কেসিআর। এদিকে রাজ্যে ক্ষমতা হারানোর পর ভাঙন শুরু হয় দলেও। কেসিআরের সক্রিয়তার অভাবে দলের ভার চলে যায় তাঁর ছেলে কেটিআরের হাতে। দলে ভাইয়ের এই উথ্থানে অসন্তুষ্ট কবিতা লাগাতার কেটিআর এবং দলের অন্য নেতাদের নিশানা করছিলেন। শুধু তাই নয়, কেসিআর ঘনিষ্ঠ বহু নেতা যে তাঁর নাম ভাঙিয়ে দুর্নীতি করে চলেছেন সেটাও প্রকাশ্যে একাধিকবার দাবি করেন কবিতা। সম্ভবত সেকারণেই ক্ষুব্ধ হয় কেটিআর এবং কেসিআরের ঘনিষ্ঠ মহিল। তাঁদের চাপেই মেয়েকে দল থেকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেন তেলেঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
