সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র ওপেন শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগে কার্লোস আলকারাজকে নিয়ে হঠাৎই দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছিল। রবিবার প্র্যাকটিস চলাকালীন তরুণ স্প্যানিশ তারকার ডান পায়ের গোড়ালি মচকে যায়। দ্রুত প্র্যাকটিস ছেড়ে উঠে যান। তবে আলকারাজ পরে জানিয়েছেন, কোনও সমস্যা নেই। সব ঠিক আছে। তাঁর বক্তব্য, “আমার মনে হচ্ছে, কোনও সমস্যা নেই। আসলে গোড়ালিটা মচকে যাওযার পর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইনি। প্র্যাকটিস চালিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থায় ছিলাম না। সেই কারণেই দ্রুত উঠে যাই।”
তিনি আরও জানিয়েছেন, টুর্নামেন্টে অংশ নিতে কোনও অসুবিধা হবে না। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি কখনও প্র্যাকটিস বন্ধ করতে চাই না। নিজেকে আরও ক্ষুরধার করে তুলতে চাই। টুর্নামেন্টের জন্য নিজেকে আরও প্রস্তুত করাই লক্ষ্য। আশা করছি, আগামীকাল বা পরবর্তী দুই-একদিনের মধ্যেই একশো শতাংশ ফিট হয়ে যাব।” এবারের যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে তৃতীয় বাছাইয়ের মর্যাদা পেয়েছেন আলকারাজ। মঙ্গলবার রাতে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবেন স্প্যানিশ তারকা। প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার লি টিইউ। তবে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে সবার নজর রয়েছে নোভাক জকোভিচের উপর। সদ্যই প্যারিস অলিম্পিকে টেনিসে পুরুষদের সিঙ্গলসে সোনা জিতে নিজের অধরা স্বপ্ন পূরণ করেছেন সার্বিয়ান মহাতারকা। এবার তাঁর লক্ষ্য ২৫তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব জয়। ইতিমধ্যেই তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব।
[আরও পড়ুন: বোর্ডের শীর্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী! ‘উনি কিছুই জানেন না’, PCB চেয়ারম্যানকে তোপ প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারদের]
যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে নামার আগে জকোভিচ বলছিলেন, ‘‘সমর্থকরা আমাকে জিজ্ঞাসা করতেই পারেন, টেনিসের সবকিছু পাওয়া হয়ে গিয়েছে আপনার। এরপর আর কী লক্ষ্য থাকতে পারে? কিন্তু আমার মধ্যে খিদে রয়েছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে লড়ার মতো ক্ষমতা আমার আছে। আমি এখনও ইতিহাস তৈরি করতে চাই। সবথেকে বড় কথা, টেনিসকে উপভোগ করতে বদ্ধপরিকর।” এবারের টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় বাছাই জকোভিচ। সোমবার প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে সার্বিয়ান কিংবদন্তি খেলবেন রাদু অ্যালবোটের বিরুদ্ধে। ২৫টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা জকোভিচ বলছিলেন, ‘‘আমি চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। আমার সবসময়ই লক্ষ্য থাকে ফাইনালে ওঠার এবং খেতাব জেতার। এবারও তার কোনও পরিবর্তন হয়নি।
সার্বিয়ান তারকাকে সবথেকে বেগ দিতে পারেন যিনি, সেই আলকারাজ আবার তাঁর গুণমুগ্ধ। তরুণ স্প্যানিশ তারকা বলছিলেন, ‘‘জকোভিচ কেরিয়ারে যা অর্জন করেছেন, সেটাই আমি অনুসরণ করতে চাই। অসাধারণ খেলোয়াড়। প্রতিদিনই যেন ওঁর খেলার উন্নতি ঘটছে।’’ অলিম্পিকের ফাইনালে আলকারাজকে হারিয়ে সোনা জেতার পর আবেগে ভেসে গিয়েছিলেন জকোভিচ। বলছিলেন, ‘‘আমার গলায় সার্বিয়ার জাতীয় সংগীত। দেশের পতাকার সঙ্গে সোনার পদক, এই অনুভূতিই আলাদা।’’ এখনও পর্যন্ত চারবার যুক্তরাষ্ট্র ওপেন চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। তবে এবারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি। ইউএস ওপেনে সেরাটা দিয়েই চ্যাম্পিয়ন হতে চান জকোভিচ। বলছিলেন, ‘‘গ্র্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্টের গুরুত্বই আলাদা। গ্র্যান্ড স্ল্যাম ট্রফি খেলার জন্য যদি অনুপ্রাণিত না হন, তা হলে অন্য কোনও টুর্নামেন্টে খেলার জন্য অনুপ্রাণিত হওয়া সম্ভব নয়।’’