সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হরিয়ানার আখড়ায় লড়েছেন, বড় বড় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ম্যাটে লড়েছেন, দিল্লির রাজপথে রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে লড়েছেন। কিন্তু ভাগ্যদেবতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আর পেরে উঠলেন না ভিনেশ ফোগাট। হেরে গেলেন অদৃষ্টের কাছে। তাঁর ভাষ্যে, হেরে গেলেন কুস্তির কাছে। প্যারিসে হৃদয়ভঙ্গের যন্ত্রণা নিয়ে কুস্তিকে বিদায় জানালেন ভিনেশ।
প্যারিসে স্বপ্নভঙ্গের একদিন পর সোশাল মিডিয়ায় এক আবেগঘন বার্তায় তিনি লিখলেন, "মা, কুস্তি আমার বিরুদ্ধে জিতে গেল। আমি হেরে গেলাম। তোমার স্বপ্ন আর আমার সাহস দুটোই ভেঙে গেল। পারলে ক্ষমা করে দিও। আমার মধ্যে আর শক্তি অবশিষ্ট নেই। বিদায় কুস্তি ২০০১-২০২৪। আপনাদের সকলের কাছে ঋণী হয়ে থাকব।"
[আরও পড়ুন: Exclusive: ‘২ কেজি বেশি ওজনেও ছাড়পত্র মেলে’, কুস্তির নিয়ম হাতিয়ার করে CAS-এ আবেদন ভিনেশের]
দেশের হয়ে প্রায় সব আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাতেই মেডেল এনেছেন। বাকি ছিল শুধু অলিম্পিক। এর আগে দুবারের চেষ্টায় সেটা হয়নি। এবার ভিনেশ যেন মরণপণ জেদ ধরে বসেছিলেন, 'অলিম্পিক পদক আনবই।' বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকদের মতো সতীর্থদের সে কথা বলেও গিয়েছিলেন প্যারিসে ওড়ার আগে। জানিয়ে গিয়েছিলেন এটাই তাঁর শেষ চেষ্টা। নিজের শেষ লড়াইটা সর্বস্ব দিয়ে লড়েছেন ভিনেশ। প্রথমে তিনি হারিয়েছেন টোকিও অলিম্পিকের সোনাজয়ী সুসাকি উই-কে। গত অলিম্পিকের সোনাজয়ীই চলতি অলিম্পিকের সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ ছিল। তাঁকে হারানোর পর আবার বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তারকা ওকসানা লিভাচকে হারিয়ে সেমিতে জায়গা করেন তিনি। সেমিফাইনালে ভিনেশ কিউবার কুস্তিগির গুজম্যান লোপেজকে কার্যত উড়িয়ে দেন।
[আরও পড়ুন: বিপর্যস্ত ওয়ানড়ের জন্যই প্রথম গোল, মন জিতলেন ইস্টবেঙ্গলের তরুণ তুর্কি]
গোটা দেশকে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন, এবার ফাইনাল জিতে সোনা আনার পালা। কিন্তু ফাইনালে নামার আগেই তাঁকে বাদ পড়ে যেতে হল মাত্র ১০০ গ্রাম ওজন বেশি হওয়ায়। কীভাবে বাড়ল ওজন? কেন সময়ের মধ্যে ভিনেশকে 'ফিট' করা গেল না? নেপথ্যে কি কোনও অন্তর্ঘাত? হাজারও প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে ভারতের ক্রীড়ামহলে। কিন্তু এসবের মধ্যে লড়াই করার শক্তিটাই হারিয়ে ফেলেছিলেন ভিনেশ। হৃদয়ভঙ্গের যন্ত্রণা সহ্য করতে পারেননি। না পাওয়ার হতাশাকে সঙ্গী করেই কুস্তির ম্যাট ছাড়লেন তিনি।