সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এশিয়া কাপ হকিতে দেখা নাও যেতে পারে পাকিস্তানকে। পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর পাক দলের ভারতে এসে খেলার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। চলতি বছর এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে বিহারের রাজগিরে। ২৭ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এই প্রতিযোগিতা। আয়োজক দেশ ভারত ছাড়াও এশিয়া কাপের ১২তম সংস্করণে অংশ নেওয়ার কথা জাপান, কোরিয়া, চিন, মালয়েশিয়া, ওমান, চাইনিজ তাইপে এবং পাকিস্তানের। আগামী বছর নেদারল্যান্ডস এবং বেলজিয়ামে বসতে চলেছে বিশ্বকাপের আসর। তার আগে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্ব এই এশিয়া কাপ।
হকি ইন্ডিয়ার সচিব ভোলানাথ সিং এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "এখনই এত তাড়াতাড়ি কিছু বলা সম্ভব নয়। আমরা এই বিষয়ে সরকারের নির্দেশ অনুসরণ করব। যা অতীতেও ঘটেছে। অপারেশন সিঁদুরের পর আমদের পক্ষে কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব নয়। টুর্নামেন্টের শুরু হতে এখনও প্রায় তিন মাস বাকি। তবে এ ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তারা যা পরামর্শ দেবে, সেটাই মেনে চলব। এ ব্যাপারে কোনও দ্বিমত নেই।" উল্লেখ্য, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানায় ২৬ জন ভারতীয় নাগরিকের প্রাণ যায়। এই পরিস্থিতিতে ভারত সরকার সমস্ত পাকিস্তানি নাগরিককে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় এবং তাদের ভিসাও বাতিল করে।
এই অবস্থায় দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক মোটেও ভালো নেই। ভারতীয় হকি ফেডারেশনের এক সূত্র মতে, "সরকার সবুজ সংকেত না দিলে ভারতে আসবে না পাকিস্তান। তাই সমস্ত কিছু নির্ভর করছে সরকারের অবস্থানের উপর।" প্রশ্ন উঠছে, পাকিস্তান ভারতে আসার অনুমতি না পেলে কি অন্য কোনও দল আনা হবে? জানা গিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার থাকবে এশীয় হকি ফেডারেশনের হাতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্তা সংবাদমাদ্যমকে বলেন, "এখনই কিছু বলা মুশকিল। এক্ষেত্রে নতুন দলকে নেওয়া হবে নাকি সাত দলের টুর্নামেন্ট হবে, সেটা এশিয়ান হকি ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।" অন্যদিকে, ২৮ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর চেন্নাই এবং মাদুরাইতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জুনিয়র হকি বিশ্বকাপ। সেখানেও কিন্তু অনিশ্চিত পাকিস্তান।
