সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিড-১৯ (COVID-19) ভাইরাসের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে বিশ্বের সব দেশই সাধ্যমতো ক্ষমতায় যত দ্রুত সম্ভব টিকাকরণ সম্পন্ন করার চেষ্টা করে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে উলটো ছবি অস্ট্রেলিয়ায়। করোনা টিকাকরণ (COVID vaccination) শুরু হয়ে যাওয়ার পরে প্রথম প্রথম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে কিছু কিছু অভিযোগ কানে এলেও পরে আর সেভাবে তেমন অভিযোগ শোনা যায়নি। কিন্তু এবার অস্ট্রেলিয়ায় (Australia) হাজার হাজার মানুষ দাবি করলেন, তাঁরা টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় ভুগেছেন।
প্রশাসনও সম্মত হয়েছে তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে। জানা যাচ্ছে, প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি অস্ট্রেলীয় ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করতে চলেছে। সংবাদমাধ্যম ‘ব্লুমবার্গ’ সূত্রে জানা যাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়া সরকার ন্যূনতম ৫ হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার ক্ষতিপূরণ দেবে। সব মিলিয়ে অন্তত ৫০ মিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলার খরচ হবে এই বাবদ।
[আরও পড়ুন: লিভারপুলে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ, ইউরোপে আরও ঘন জেহাদের ছায়া]
ঠিক কী ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে? জানা যাচ্ছে, হাত ফুলে যাওয়া, মাথাব্যথা, জ্বরের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথাই বেশি শোনা যাচ্ছে। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা আগেও শোনা গিয়েছে। ফাইজার টিকা নেওয়ার পরে অস্ট্রেলিয়ার ‘থেরাপিউটিক গুডস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে’র কাছে ২৮৮টি রিপোর্ট জমা পড়ে হৃদপিণ্ডে প্রদাহজনিত সমস্যার। এদিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা সামনে এসেছে প্রায় ১৬০টি। মূলত ৬৫ বা তার বেশি বয়সিদেরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বেশি ভুগিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
তবে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় ভুগে অন্তত এক রাত হাসপাতালে কাটালে তবেই মিলেছে ক্ষতিপূরণ দাবি করার সুযোগ। অনেকেরই অভিযোগ, তাঁরা ভুগতে শুরু করার কারণে চাকরিও খুইয়েছেন। সকলেই ক্ষতিপূরণ দাবি করতে চলেছেন। এজন্য একটি নির্দিষ্ট গাইডলাইন অবশ্য প্রকাশ করবে অস্ট্রেলিয়া সরকার। সেই গাইডলাইন মেনে নির্দিষ্ট প্রমাণ দাখিল করলে তবেই প্রশাসন ক্ষতিপূরণ দেবে।
[আরও পড়ুন: আমেরিকা-চিন সংঘাত রুখতে জিনপিংকে ‘সীমারেখা’ তৈরির প্রস্তাব বাইডেনের]
এখনও পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৭৮ হাজারেরও বেশি মানুষ অস্ট্রেলিয়ায় টিকা পেয়েছে। ১৬ বছর বা তার বেশি বয়সিদের মধ্যে ৯০.৭ শতাংশই অন্তত একটি করে টিকার ডোজ পেয়েছেন। ৮৩.৫ শতাংশেরই সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। আগামী বছরের জানুয়ারিতেই ১২ বছরের কমবয়সিদের টিকাকরণ শুরু হবে বলে প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।