সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশ সরকার প্রকাশ্যে রাজ্যে ছবিকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছে। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে আপত্তিকর দৃশ্যগুলি বাদ দেওয়ার দাবি তুলেছেন। কিন্তু তা বাদ দিয়েও সে রাজ্যে কর্ণি সেনার তাণ্ডবে ছবি আদৌ মুক্তি পাবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। ছেড়ে কথা বললেন না যোগী আদিত্যনাথও। ছবি নিয়ে বিতর্কের জন্য এবার পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি ও নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোনকেই দায়ী করলেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, হিংসা কোথাও সমর্থন যোগ্য নয়। কিন্তু পরিচালক সঞ্জয় ও নায়িকা দীপিকারও রাজপুত সংগঠনের ভাবাবেগে আঘাত করা ঠিক হয়নি। এই বিতর্কের জন্য তাঁরাও সমান দায়ী। উত্তরপ্রদেশের ২২ কোটি মানুষের কথা তাঁকেই ভাবতে হবে। নিজের রাজ্যে কোনওভাবেই বিশৃঙ্খলা তিনি চান না বলেই জানান যোগী। একই সঙ্গে পরোক্ষে বুঝিয়ে দেন ‘পদ্মাবতী’ সে রাজ্যে মুক্তি নাও পেতে পারে।
এদিকে ‘পদ্মাবতী’ নিয়ে ক্ষোভের আঁচ পশ্চিমবঙ্গেও এসে পৌঁছেছে। কলকাতার নবীনা প্রেক্ষাগৃহের সামনে এ নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। শোনা গিয়েছে, ক্ষত্রিয় সমাজের সদস্যরা পণ নিয়েছেন এ ছবি শহরে মুক্তি পেতে দেওয়া হবে না। অবশ্য এর বিরুদ্ধে আগেই সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার টুইটের মাধ্যমে তিনি জানিয়ে দেন, একটি রাজনৈতিক দলের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য সুপরিকল্পিতভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে এভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে। এই ‘সুপার এমারজেন্সি’র কড়া নিন্দা করেছেন তৃণমূলনেত্রী। সারা দেশের চলচ্চিত্র মহলের এক হয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। এমন কোনও বিক্ষোভ যে এ রাজ্যে বরদাস্ত করা হবে না তাও পরোক্ষে বুঝিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
[মিডিয়ার সামনে মেজাজ হারিয়ে কেন কেঁদে ফেললেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন?]
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌর জানিয়েছেন, যাবতীয় সিদ্ধান্তের ভার সিবিএফসির উপরই রয়েছে। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার এই সংগঠনই নেবে। সিবিএফসি প্রধান প্রসূন জোশীও জানিয়েছেন, আলোচনা ও পর্যালোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। আর তার জন্য সময় চাই। এদিকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডব অব্যাহত। পরিচালক ও নায়িকার উদ্দেশে হুমকি পালাও অব্যাহত। ইতিমধ্যেই নায়িকার নাক ও মাথা কেটে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। যার জেরে দীপিকা ও সঞ্জয়ের জন্য বাড়তি নিরাপত্তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে প্রকাশ পাড়ুকোনের বাড়িতেও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন কর্নাটকের মুখমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াও। বিজেপির বিরুদ্ধে অসহিষ্ণুতার রাজনীতি করার অভিযোগ করেছেন তিনি।
এই বিতর্কে নিজের চলচ্চিত্র জগতের সহকর্মীদের পাশে পেয়েছেন সঞ্জয়, দীপিকারা। দীপিকার মাথা বাঁচানোর জন্য টুইট করেছেন কমল হাসান। প্রতিবাদীদের একহাত নিয়েছেন জাভেদ আখতার, শাবানা আজমি থেকে অর্জুন কাপুর, সলমন খানরাও। রসিকতা করে আবার টুইঙ্কল খান্না জানতে চেয়েছেন, দীপিকার মাথার দামে জিএসটি ধার্য হবে কি না?
অবশ্য এতকিছুর পরও আশাবাদী ছবি নির্মাতারা। চাপের মুখে ‘পদ্মাবতী’র মুক্তি পিছিয়ে দিতে হয়েছে। কিন্তু ছবি মুক্তি পেলে দর্শক তা অবশ্যই পছন্দ করবেন বলে আশা তাঁদের।
[গ্রিসের অপূর্ব লোকেশনে স্টাইলিশ রোমান্সে মজলেন সলমন-ক্যাট]
The post ‘পদ্মাবতী’ বিতর্কের জন্য সঞ্জয়-দীপিকাই দায়ী, তোপ যোগীর appeared first on Sangbad Pratidin.