অর্ণব আইচ: পাকিস্তানে প্রশিক্ষণের জন্য এই রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলার যুবকদের টার্গেট করছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ISI)। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ও এরাজ্য থেকে পাকিস্তান ও তালিবানদের কাছ থেকে জঙ্গি (Terror) প্রশিক্ষণ নিতে ১৭ জন যুবক গিয়েছে, এমনই খবর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে। এবার জামাত-উল-মুজাহিদিন (বাংলাদেশ) বা জেএমবির (JMB) মাধ্যমেই ফের শুরু হয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। এর পিছনে রয়েছে আইএসআই।
দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে ছয় জঙ্গি। সূত্রের খবর, তাদের মধ্যে দু’জনের সঙ্গে যোগ রয়েছে জেএমবির। সেই সূত্র ধরে দিল্লি পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর আসে যে, প্রায় ১৫ জন বাঙালি যুবকও প্রশিক্ষণ নিয়েছে পাকিস্তানে। তালিবান (Taliban) কাবুলের দখল নেওয়ার পর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা খবর পান যে, বাংলাদেশ, অসম ও এরাজ্য থেকে আগেই মোট ২১ জন যুবক বিহার, উত্তরপ্রদেশ হয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে পৌঁছেছে। সেখান থেকে তাদের দফায় দফায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে পাকিস্তানে। পাকিস্তানে (Pakistan) তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে খবর আসে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে।
[আরও পড়ুন: বদলি হচ্ছেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল, নতুন নাম নিয়ে জোর চর্চা]
তাঁদের ধারণা, জঙ্গি প্রশিক্ষণের পর ওই যুবকদের আফগানিস্তানে পাঠানো হতে পারে। সেখানে তাদের তালিবানদের সঙ্গেও যুক্ত করার পরিকল্পনা থাকতে পারে আইএসআইয়ের। এ ছাড়াও ফের ভারতে পাঠিয়ে তাদের সাহায্যে নাশকতার চেষ্টাও হতে পারে। গোয়েন্দাদের দাবি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে পাকিস্তানে তিনজনকে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বেশ কয়েকটি অঞ্চলকে টার্গেট করেছে জেএমবি। আগেও দেখা গিয়েছিল, কখনও হুজি, আবার কখনও লস্কর-ই-তৈবা (LET) এই জেলায় ঘাঁটি তৈরি করেছে। এবারও এই জেলা থেকে জেএমবি যুবকদের নিজেদের সংগঠনে নিয়োগ করে প্রশিক্ষণের জন্য পাকিস্তানে পাঠাচ্ছে বলে খবর গোয়েন্দাদের কাছে।
[আরও পড়ুন: WB By-Election: ভবানীপুরে মমতার হয়ে চলতি সপ্তাহ থেকেই প্রচারে নামছেন অভিষেক]
এ ছাড়াও জঙ্গিদের নজরে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, বর্ধমান, বীরভূম জেলাও। কয়েক মাস আগেই কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার হয় তিন বাংলাদেশি জেএমবি জঙ্গি ও তাদের এক লিঙ্কম্যান। কলকাতার দক্ষিণ শহরতলির হরিদেবপুরে তারা ঘাঁটি তৈরি করেছিল। নতুন মডিউল তৈরির চেষ্টা করছিল কলকাতায়। যদিও কলকাতা থেকে তারা কাউকে নিয়োগ করেনি। নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের মূল টার্গেট এই জেলাগুলি। গোয়েন্দাদের কাছে খবর, জেলাগুলিতে নতুন করে জেএমবি জঙ্গিরা স্লিপার সেল তৈরি করছে। জেএমবির সঙ্গে যুক্ত কিছু নেতা বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত চোরাপথে পার হয়ে জেলাগুলিতে মগজধোলাইও করেছে। নতুন করে এই জঙ্গি সংগঠন কোনও জেলায় মডিউল তৈরি করছে কি না, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।