সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের রাশ সেনাবাহিনীর হাতেই! ‘সর্বশক্তিমান’ ফৌজের নেকনজর না থাকলে সরকার চালানো যায় না। ইসলামাবাদ নয়, রাওয়ালপিন্ডির সেনাসদরের নির্দেশই শেষ কথা। অবশেষে নিজের মুখেই এই সমস্ত অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করলেন পাকিস্তানের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
বৃহস্পতিবার পাক বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম জিও টিভিকে সাক্ষাৎকার দেন শাহবাজ। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক বলেন, “আজ বিশ্বে ‘হাইব্রিড রিজিমে’র (সামরিক-গণতান্ত্রিক সরকারের মিশেল) অন্যতম উদাহরণ পাকিস্তান।” প্রশ্ন ওঠে পূর্বসূরী ইমরান খানের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও তিনি নিজে কি পৃথক কিছু করতে পেরেছেন? উত্তরে শাহবাজ বলেন, “ফৌজের মদত নিতেন ইমরান খান। প্রাক্তন সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার উপর অনেকটাই নির্ভরশীল ছিলেন তিনি। সরকার চালাতে সব পক্ষের সমর্থনের প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে সেনাও রয়েছে।” তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, গত এপ্রিল মাসেই শরিফ দাবি করেছিলেন যে দেউলিয়া পাকিস্তানের জন্য সৌদি ঋণ সংগ্রহে সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের বড় ভূমিকা রয়েছে।
উল্লেখ্য, জন্মলগ্ন বা ১৯৪৭ থেকেই পাকিস্তানের রাশ ধরে রেখেছে ফৌজ। এই কথা কাররই অজানা নয়। সেনার সম্মতিতেই মসনদে বসেছিলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের প্রধান ইমরান খান। আবার সেনার রোষের মুখে পড়েই তাঁকে গদি খোয়াতে হয়েছে।
[আরও পড়ুন: যুদ্ধের মেঘ তাইওয়ানের আকাশে! ২৪ ঘণ্টায় দু’বার অনুপ্রবেশ লালফৌজের, বাড়ছে উত্তেজনা]
বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, সেনার সঙ্গে বনিবানা না হওয়ায় গদি হারাতে হয়েছে ইমরান খানকে (Imran Khan)। আর কাপ্তানকে সরানোর জন্য রাওয়ালপিন্ডিতে কলকাঠি নেড়েছে আমেরিকা। কারণ, রাশিয়া ও চিনের সঙ্গে পিটিআই প্রধানের সখ্য কিছুতেই মানতে পারছিল না ওয়াশিংটন। তাছাড়া, আমেরিকা বিদ্বেষ কখনও গোপন করেননি ইমরান। গদি হারানোর আগে আমেরিকার উদ্দেশে তিনি সাফ বলেছিলেন, “আপনারা ভাবেন কি? আমরা গোলাম, যা বলবেন তাই করব। আমরা রাশিয়ার বন্ধু। চিনেরও বন্ধু। আমরা সবার বন্ধু।”