সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে তালিবানের (Taliban) ‘বন্ধুত্বে’র আরও এক প্রমাণ মিলল। তালিবান অনুমোদিত আফগান (Afghanistan) ‘রাষ্ট্রদূত’দের পাকিস্তানের আফগানিস্তান দূতাবাসের দায়িত্ব নেওয়ার অনুমতি দিল ইমরান প্রশাসন। যদিও এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে কাবুল সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি পাকিস্তান। তবুও সেদেশের ‘কূটনীতিক’দের ভিসার অনুমোদন দিল তারা। যা আরও একবার প্রমাণ করে দিল, ভিতরে ভিতরে সম্পর্কের শিকড় কতটা মজবুত।
এদিকে তালিবানকে ভিসা দেওয়ার বিষয়ে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মনসুর খানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানিয়েছেন, দূতাবাসের কাজের সুবিধার্থে তাদের ভিসা দেওয়া হয়েছে। তবে সেই সঙ্গে স্বীকৃতি প্রসঙ্গে তাঁর সাফাই, স্বীকৃতি নয়, সহায়তার হাত বাড়াতেই এই ভিসার অনুমোদনের সিদ্ধান্ত।
[আরও পড়ুন: করোনা বিতর্ক সত্ত্বেও WHO প্রধান হিসেবে ফের নির্বাচিত টেড্রোস ঘেব্রিয়েসুস]
পাকিস্তান যতই কূটনৈতিক প্যাঁচ পয়জার দেখাক, তালিবানের সঙ্গে ইমরান সরকারের সম্পর্ক যে মধুর, তার প্রমাণ বারবারই মিলেছে। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের (UN) সাধারণ সভায় তালিবানের হয়ে গলা ফাটাতে দেখা গিয়েছিল পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। আফগানিস্তানের (Afghanistan) বর্তমান সরকারকে শক্তিশালী ও স্থিতিশীল করে তোলার আরজি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত জুলাই থেকে পাকিস্তানের আফগান দূতাবাসে কোনও প্রতিনিধি নেই। সেই সময়ই বিগত আফগান সরকারের প্রতিনিধি নাজবুল্লা আলিখিল তাঁর মেয়ে সিলসিলার অপহরণ সংক্রান্ত বিতর্কের কারণে সেদেশ ছাড়েন। এরপর আগস্টে আফগানিস্তান দখল করে তালিবান জঙ্গিরা। আর তারপর থেকেই সেদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের মুখোমুখি হয়ে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের কোনও দেশই স্বীকৃতি দেয়নি তালিবান সরকারকে। চাপে পড়ে পাকিস্তানও সরকারি ভাবে কোনও স্বীকৃতি দিতে পারেনি তাদের। এদিকে তালিবানের মুখপাত্রও ইমরান খানকে ‘তোতাপাখি’ বলে কটাক্ষ করেছে কিছুদিন আগে। তবুও সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত ও তার আগের বহু ঘটনাই প্রমাণ করে দিয়েছে, তালিবানকে স্বীকৃতি দিতে কতটা মরিয়া ইসলামাবাদ। ভিতরে ভিতরে তাদের ‘বন্ধুত্ব’ যে অটুট আবারও তার প্রমাণ মিলল তালিবানকে ভিসা দেওয়ার ঘটনায়।