সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে যাবতীয় জল্পনার অবসান। করোনা টিকাকরণের (COVID vaccine) পথে হাঁটতে চলেছে পাকিস্তান (Pakistan)। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড ভ্যাকসিনকে (AstraZeneca Covid-19 vaccine) জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারে সম্মতি দিয়েছে ইসলামাবাদ। শনিবার পাকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ইমরান-ঘনিষ্ঠ ড. ফয়জল সুলতান সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন ‘ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটি অফ পাকিস্তান’ এই ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। ইমরান খানের দেশে বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। কিন্তু এতদিন তারা কোনও ভ্যাকসিনকেই অনুমতি দেয়নি। কাকতালীয়ভাবে ভারতে যেদিন থেকে টিকাকরণ শুরু হল, সেদিনই এই পদক্ষেপ করল পাকিস্তান।
অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটিকে প্রথম অনুমোদন দিয়েছিল ব্রিটেন। গত ডিসেম্বরে তারা এটি ব্যবহারের অনুমতি দেয়। অনেক ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও এখনও পর্যন্ত এই ভ্যাকসিন সম্পর্কে তেমন অভিযোগ নেই। সেই সঙ্গে এটির কার্যকারিতাও প্রমাণিত। দু’টি ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন পরে কারও আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলেনি। এদিকে ফয়জল জানিয়েছেন, পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেই বিভিন্ন জায়গা থেকে ভ্যাকসিন কিনবে ইমরান সরকার। এর মধ্যে ‘বন্ধু’ চিন থেকে সিনোফার্মের ১০ লাখেরও বেশি ডোজ নেবে তারা। পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক ক্রয় চুক্তি ও কোভ্যাক্স ফেসিলিটির মাধ্যমেও ভ্যাকসিন কেনার অপেক্ষায় রয়েছে ইসলামাবাদ। এদিকে ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটির থেকে চিনের ভ্যাকসিনের অনুমোদনের অপেক্ষাও রয়েছে। বহু ভ্যাকসিন নির্মাতার সঙ্গেই কথা চালাচ্ছে পাক প্রশাসন। ফয়জলের কথায়, ”চিনের ক্যানসিনোবায়োর সঙ্গে চুক্তি হয়ে গেলে সেখান থেকেও এক কোটির বেশি ডোজ পাওয়া যাবে।”
[আরও পড়ুন: করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে ২৩ জনের মৃত্যু! টিকাকরণ নিয়ে আতঙ্কে নরওয়ে]
এপর্যন্ত পাকিস্তানে প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৮৬৩ জনের। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছিল, কেন এখনও কোনও ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিচ্ছে না তারা? ভারতে শুরু হয়ে গিয়েছে টিকাকরণ। চলতি মাসে সেরামের টিকা পৌঁছে যাবে বাংলাদেশেও। অবশেষে টিকাকরণের দিকে একধাপ এগোল পাক সরকার।